পাকিস্তান জাতীয় মহিলা কমিশনের সাবেক সভাপতি খাওয়ার মমতাজ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার নারী আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে। এ সময় তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় নারী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রয়াত মানবাধিকার কর্মী নাসরীন হকের জন্মবার্ষিকীতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মৃতিচারণ করে খাওয়ার মমতাজ বলেন, ১৯৯৪ সালে কায়রোতে তরুণ নারী আন্দোলন কর্মী নাসরীন হকের সাথে প্রথম দেখা হয়। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সদস্য হিসেবে একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হয়ে সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তার বোন নারীপক্ষের সদস্য শিরীন হকও সেখানে ছিলেন। এ ছাড়া অন্যান্য এনজিওর নারী অধিকার কর্মীরা এই সম্মেলনে অংশ নেয়।
খাওয়ার মমতাজ বলেন, প্রয়াত নাসরীন হক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা, দক্ষিণ এশিয়ার ভিসা ফ্রি, মাতৃমৃত্যু রোধ, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, নারী আন্দোলন, নারী ও শিশু অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, প্রান্তিক পর্যায় নারীর অবস্থাসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রেখেছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সব নারীর সমস্যা প্রায় একই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি বলব, শুধু নিজের দেশের সমস্যা নিয়েই আন্দোলন নয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সব নারীর সমস্যা প্রায় একই রকম। এ সমস্যা নিরসনে যৌথভাবে দক্ষিণ এশিয়ার নারী আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে।
প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুয়া নিউজ ছড়ায়। এসব থেকেও সাবধান থাকতে হবে। ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় নারীপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ফেরদৌস আজীম বলেন, নারী অধিকার কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
মন্তব্য করুন