বয়:সন্ধিকালীন কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করনীয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার দূর্গম পদ্মার চরে আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে হিউম্যান সেফটি ফাউন্ডেশন (এইচএসএফ) আয়োজিত, সুকণ্যা প্রকল্পের আওতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা।
আলোচনায় কিশোরীরা বয়ঃসন্ধিকালে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জানান, লোকলজ্জার কারণে দোকান থেকে তারা তাদের প্রয়োজনীয় প্যাড কিনতে পারেন না, এছাড়া চরের দোকানে পাওয়া যায়না পর্যাপ্ত প্যাড। ফলে অনেক কিশোরী মাসিক চলাকালে কাপড় ব্যবহার করেন, ফলে তাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয়। আলোচনায় কিশোরীরা জানান, এসময় তাদের মাঝে তৈরি হয় বিষন্নতা, কিন্তু বিষন্নতা কাটাতে তারা পাননা পরিবারের সহযোগিতা।
আলোচনায় অংশ নেন ডা. তৌফিকুল করিম। এ সময় তিনি কিশোরীদের উপদেশ দেন, ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, জানতে হবে এ সময় কিশোরীদের কি করতে হবে আর কি করা যাবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এসময় কিশোরীদের পাশে থাকতে হবে পরিবারের সদস্যদের। এসময় ডা. তৌফিকুল করিম, কিশোরীদের বয়:সন্ধিকালীন বিভিন্ন সমস্যার প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন কিশোরীকে বিনামূল্যে দেয়া হয় ব্যবস্থাপত্র।
আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন বিপ্লব বলেন, দূর্গম চরের বেশিরভাগ কিশোরী বয়:সন্ধিকালীন শারীরিক সমস্যা নিয়ে অবগত নয়, ফলে এই সময়ে অনেক কিশোরী বিদ্যালয়ে আসেনা। পিছিয়ে পড়ে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে। তাই এই বিষয়ে যত তথ্য কিশোরীদের জানানো যাবে, ততই তারা সচেতন হবে।
হিউম্যান সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম এ মুকিত মন্তব্য করেন, কিশোরীদের মাসিক ঋতুস্রাব নিয়ে এখনও ট্যাবু রয়েছে। অথচ মাসিক ঋতুস্রাব নিয়ে কিশোরীদের সঠিক তথ্য জানা উচিত। জানান, এই ট্যাবু ভেঙ্গে কিশোরীদের মাঝে সঠিক তথ্য প্রচার করাই সুকণ্যা প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
আলোচনা শেষে, কিশোরীদের মাঝে বিনামূল্যে সেনেটারি প্যাড বিতরণ করা হয়। এছাড়া দেয়া হয় একটি বাক্স যেখানে রাখা হবে প্যাড, যেখান থেকে বিনামূল্যে প্রয়োজনের সময় কিশোরীরা প্যাড নিতে পারবেন।
আর এই প্রকল্পে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে স্কয়ারে টয়লেট্রিজ লিমিটেড।
মন্তব্য করুন