মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে তিন হাজারের অধিক লোক নিহত হয়েছেন। দেশটিতে গত শুক্রবার এ ভূমিকম্প হয়। এর পরে পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও ৯ বছরের মেয়ে সায়মাকে খোঁজ করছেন তার বাবা আবদেল আবেদ।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, আবেদ এখনো তার মেয়েকে খুঁজে পেতে মাটি খুঁড়ে চলছেন। তিনি মাটি ও পাথর সরাতে সরাতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিরতি নিয়ে আবার মাটি খুঁড়ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পরে পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও এখনও সায়মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে এখনো মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে।
সায়মার বাবা আবেদের আশা, তার মেয়ে এখনো বেঁচে আছেন।
স্বজনেরা জানান, মেয়েকে উদ্ধারে এখনও পাথরের মাঝে খোঁজ করছেন। গতকাল সায়মার মাকে মাটির নীচ থেকে নিহত উদ্বার করা হয়েছে। আর শনিবার ভূমিকম্পের পর বিপর্যস্ত এলাকা থেকে শনিবার তাকে উদ্বার করে উদ্বারকারীরা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, সায়মাকে উদ্ধারে তার বাবাকে স্পেনের দমকলকর্মীদের একটি দল তাকে সহযোগিতা করছে। তারা জীবিত উদ্ধার করতে একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর পাঠিয়েছে। কুকুরটি ঘ্রানের মাধ্যমে জীবিত মানুষ শনাক্ত করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ছয় দশকের মধ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় মরক্কো। এ ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহতের পাশাপাশি অ্যাটলাস পর্বতমালার আশপাশে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন এবং ইট ও মাটির তৈরি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্যোগে তিন লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল অ্যাটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডিনের স্কি রিসোর্টের কাছে। এ জায়গাটি দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই মারাকেশ শহরই।
ভূমিকম্পের পাঁচদিন পার হলেও এখনো ঘরে ফিরতে পারছেন না অনেক মানুষ। এদিকে উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিদেশি কিছু উদ্ধারকারী দল। দেশটিতে ধসে পড়া বিভিন্ন ভবনগুলোর নিচে এখনও অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন