দক্ষিণ কোরিয়ার নৌঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু ক্ষমতাধর সাবমেরিন পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি তাদের পূর্বাঞ্চলে এটি উৎক্ষেপণ করেছে। সিউল ও টোকিও এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব আর্মি স্টাফ (জেসিএস) জানায়, সোমবার (২৪ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে ১২টার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছাকাছি এলাকা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল দেশটি।
তারা জানান, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উৎক্ষেপণস্থল থেকে ৪০০ কিলোমিটার (২৪৮ মাইল) দূরে কোরিয়া উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে পানিতে পতিত হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে দুঃসাহসী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, এগুলো এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এর আগে গত শনিবার (২২ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে পীতসাগরে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। তখন দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের (জেসিএস) বরাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী নজরদারি জোরদার করেছে। একই সঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে।’ তারও আগে গত বুধবার (১৯ জুলাই) জাপান সাগরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন নোঙর করার কয়েক ঘণ্টা পরই এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া।
ইয়োনহাপ জানায়, গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু পরামর্শ গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একই দিন বুসানের একটি নৌঘাঁটিতে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন মার্কিন কৌশলগত সাবমেরিন ভিড়ে। চার দশক পর দক্ষিণের বন্দরে প্রথমবারের মতো কোনো পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন মার্কিন সাবমেরিন নোঙর করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দুই কারণে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে থাকতে পারে উত্তর কোরিয়া।
মন্তব্য করুন