রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মংডুর শেষ সীমান্ত সেনা ফাঁড়িটিও আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে

মংডু সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী। পুরোনো ছবি
মংডু সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী। পুরোনো ছবি

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে লড়াইরত জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বড় সফলতা পেয়েছে। তারা দাবি করেছে, কৌশলগত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মংডুর শেষ সীমান্ত সেনা ফাঁড়িটি দখলে নিয়েছে তারা। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটার (১৬৮ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের মঙ্গলবারের (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মংডুর সীমান্ত ফাঁড়ির পতনের মধ্য দিয়ে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যে আরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল। গোষ্ঠীটি রাজ্যটিতে স্ব-শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

রাখাইন মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সেখানে গণতন্ত্রপন্থি গেরিলা এবং জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র বাহিনী স্বায়ত্তশাসনের জন্য দেশটির সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ২০২১ সালে সেনাবাহিনী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ক্ষমতা গ্রহণ করলে এ সংঘাত সর্বাত্মক রূপ পায়।

আরাকান আর্মির একজন মুখপাত্র খাইং থুখা সোমবার গভীর রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে খুদে বার্তার মাধ্যমে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, তার দল রোববার মংডুতে শেষ সামরিক ফাঁড়িটি দখল করেছে। ফাঁড়ির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুন যুদ্ধ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় বন্দি হয়েছেন।

তবে মংডুর পরিস্থিতি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। এই এলাকায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন পরিসেবার বেশিরভাগই বিচ্ছিন্ন থাকায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

এদিকে মিয়ানমারের সামরিক সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং। মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক সরকারের প্রধানও তিনি। জান্তার ক্ষমতা দখলের পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় মিয়ানমারে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে আসে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। ২০২৩ সালে নভেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জান্তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে যুদ্ধে নামে গোষ্ঠীগুলো। সেই যুদ্ধ এখনো চলছে এবং এরই মধ্যে দেশের বড় এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলতি বছর যুদ্ধ মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী-সেনা-পুলিশের সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। ওই সময় সীমান্তের ওপারে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে টেকনাফসহ বিভিন্ন এলাকা। ওপার থেকে ছোড়া গুলি ও মর্টার শেলও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাহানারার অভিযোগ তদন্তে বিসিবির তিন সদস্যের কমিটি গঠন

ঢাকার নতুন ডিসি শফিউল আলম

দেশের ১৫ জেলায় নতুন ডিসি

১৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য কড়া সিদ্ধান্ত ডেনমার্কের

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে দেশে আবারও বিপ্লব ঘটবে : সরোয়ার

আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না : মির্জা ফখরুল

বিএনপিতে চাঁদাবাজ-জুলুমবাজদের স্থান নেই : নয়ন

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মী আটক

‘মুলা তোলার আগেই সব শেষ, জমিতে পানি আর পানি’

১০

অবশেষে থামল বায়ার্ন

১১

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজের তথ্য ফাঁস, যেসব পরিবর্তন আনছে অ্যাপল

১২

মার্কস অলরাউন্ডার প্রতিযোগিতা নয়, প্রতিভা-মেধা বিকাশের প্ল্যাটফর্ম

১৩

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেব না : নুর

১৪

তারেক রহমানের সঙ্গে জুলাই শহীদ পরিবারের সাক্ষাৎ, বিএনপির সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয়

১৫

কাজাখস্তান তো ইসরায়েলের ‘ব্যবহৃত মাল’ : ফিলিস্তিনি নেতা

১৬

বগুড়ায় যাচ্ছেন মীর স্নিগ্ধ

১৭

সামিরা-ডনের ফাঁসি চেয়ে কাশিমপুরে স্লোগানে উত্তাল

১৮

আদিবাসীদের নবান্ন উৎসব / রাজশাহীতে ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদযাপন

১৯

বিএনপিই পারবে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে : দুলু

২০
X