কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আদালতের রায়

অভিসংশিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ছবি : সংগৃহীত
অভিসংশিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অপসারণের পক্ষে রায় দিয়েছে। বেঞ্চ বিচারকদের সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় ঘোষণা করা হয়। গত বছরের শেষের দিকে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য ইওল অপসারিত হলেন।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে আদালতে রায় পড়েন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুন হিউং-বে। সামরিক আইন ঘোষণার জন্য ইউনের প্রতিটি কারণ খারিজ করে দেন তিনি এবং বলেন, ডিসেম্বরে রাজধানীর রাস্তায় সেনা মোতায়েন করে প্রেসিডেন্ট তার কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করেছেন।

বিচারক বলেন, বিবাদী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব ভেঙে ফেলার জন্য সামরিক ও পুলিশ বাহিনীকে একত্রিত করেছিলেন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন। এটি করে তিনি সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পরিত্যাগ করেছেন এবং কোরিয়ান জনগণের আস্থার সাথে গুরুতরভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এই ধরনের বেআইনি এবং অসাংবিধানিক আচরণ এমন একটি কাজ যা সংবিধানের অধীনে সহ্য করা যায় না।

এই রায়ের অর্থ দক্ষিণ কোরিয়াকে এখন ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু তার পদে বহাল থাকবেন।

সবাইকে হতবাক করে দিয়ে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। সাময়িক এ সামরিক আইন জারির জেরে গত ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয়। পরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শুরু হয় ফৌজদারি তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের তলবে হাজির হতে ইউন অস্বীকৃতি জানান। এর জেরে গত ৩১ ডিসেম্বর ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত। পরে বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফিলিপাইনে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

জুমার দিন যে সময়ে দোয়া করলে আল্লাহ মনের চাহিদা পূরণ করেন

শেরপুরে স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন, ক্ষোভে ফুঁসছেন তরুণরা 

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

ভিক্ষুকের ঘরে ২ বস্তা টাকা, গুনতে লাগল ৫ ঘণ্টা 

১০ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে 

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গাজা চুক্তিকে ইরান হামলার সঙ্গে যুক্ত করলেন ট্রাম্প

১০ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

নোয়াখালী বিভাগ চেয়ে ইতালিতে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

১১

কাবুলে বিস্ফোরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

১২

‘ওলামা-মাশায়েখদের ত্যাগ-কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

১৩

যুদ্ধবিরতিতে গাজার ঘরে ঘরে আনন্দ, রাস্তায় মিছিল

১৪

সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব : চসিক মেয়র

১৫

২০ মাসে মামলার রায়, স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১৬

ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারই জাতির একমাত্র লক্ষ্য : গয়েশ্বর

১৭

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভেঙে ফেললেন লন্ডন প্রবাসী

১৮

ইসরায়েলের যে কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম

১৯

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, টিটিপি প্রধান নিহতের গুঞ্জন

২০
X