কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আদালতের রায় পাকিস্তানের পক্ষে, ক্ষুব্ধ ভারত

ভারত পাকিস্তানের মানচিত্র ও নদীতে দেওয়া বাঁধ। ছবি : সংগৃহীত
ভারত পাকিস্তানের মানচিত্র ও নদীতে দেওয়া বাঁধ। ছবি : সংগৃহীত

সিন্ধু পানি চুক্তিসংক্রান্ত একটি মামলায় পাকিস্তানের পক্ষে রায় দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত স্থায়ী সালিশি আদালত। এই রায়কে ইসলামাবাদ তাদের জন্য একটি বড় আইনি জয় হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে রায়কে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত এবং একে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) আদালত জানায়, ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না। আদালতের রায়ে বলা হয়, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, যতক্ষণ না উভয় দেশ সম্মত হয়ে তা বাতিল করে। কোনো পক্ষ একতরফাভাবে তা স্থগিত বা বাতিল করতে পারে না।

এছাড়া আদালত আরও বলেন, একবার সালিশি প্রক্রিয়া শুরু হলে কোনো দেশই তাতে বাধা দিতে বা পিছু হটে তা ভঙ্গ করতে পারবে না।

পাকিস্তান আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং একে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের আপত্তিকে আইনি স্বীকৃতি হিসেবে দেখছে। ইসলামাবাদের মতে, ভারতের কিষানগঙ্গা ও রাটল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এবং একতরফা পদক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া ভাষায় জানিয়েছে, তারা এই সালিশি আদালতের এখতিয়ারকে কখনও স্বীকৃতি দেয়নি। ভারত মনে করে, আদালতের এই গঠন এবং রায় সিন্ধু পানি চুক্তির মৌলিক কাঠামোর লঙ্ঘন।

ভারত আরও দাবি করে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তারা চুক্তি স্থগিত করার অধিকার রাখে এবং স্থগিতাবস্থায় তারা কোনো বাধ্যবাধকতা মানতে বাধ্য নয়।

উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৬টি নদীর পানির বণ্টন নির্ধারণ করে দেয়। এই চুক্তির আওতায় রয়েছে বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দিষ্ট ধারা, যার মাধ্যমে নিরপেক্ষ সালিশি বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে পাকিস্তান একাধিকবার আপত্তি জানিয়েছে। চুক্তি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে ফের উত্তেজনা বাড়ছে।

এই রায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পুরনো পানি বিরোধকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে। একদিকে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক আইনের বিজয় উদযাপন করছে, অন্যদিকে দিল্লি এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কঠোর বার্তা দিচ্ছে—যা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

সূত্র : দ্য ডন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ছেড়ে দেওয়া হলো সেই দুই সাংবাদিককে

সংসদে ‘পিআর’ পদ্ধতিতে আসনবণ্টন নিয়ে জুনায়েদের ব্যাখ্যা

প্রেস সচিব অবরুদ্ধ ছিলেন না, তিনি খুলনার অতিথি : আন্দোলনকারী

জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি ঢেকে রাখা পোস্টার সরাচ্ছে ছাত্রদল

অসুস্থ সাংবাদিক মাসুদ কামালকে তারেক রহমানের ফোন

বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ, বছরে মৃত্যু ৩৫০

নেতানিয়াহুকে আর বিশ্বাস করেন না বহু ইসরায়েলি

ইনশাআল্লাহ, এনসিপি সরকার গঠন করবে : নাসীরুদ্দীন

ক্লাব বিশ্বকাপকে ফুটবলের সবচেয়ে বাজে আইডিয়া বললেন ক্লপ!

নীলফামারীতে আটক কুমিল্লার ২ সাংবাদিক

১০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

১১

হাসপাতালে ব্যালন ডি’অর জয়ী বোনমাতি!

১২

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন কেন চান না, জানালেন সালাহউদ্দিন

১৩

ফ্যাসিস্ট আ.লীগের এ দেশের রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই : ফরিদুজ্জামান

১৪

শেফালির মৃত্যুতে শোকাহত নিরব

১৫

পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা, ৩২ জনের প্রাণহানি

১৬

‘ঐকমত্য কীভাবে হবে’, প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের

১৭

ইরানে হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৮

চার তরুণ মেধাবী প্রকৌশলী পেলেন মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়াই-ই-এস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’

১৯

আমার দিকে পাথর ছুড়লে আমি তাকে ফুল দিয়ে বুকে টেনে নেব : হাসনাত

২০
X