সেপ্টেম্বরের এক বিকেলে, মৃদু কুয়াশায় ভরে গিয়েছিল পুরো আকাশ। বাতাসে তখন ভেসে বেড়াচ্ছিল নোনাজলের নির্মল ঘ্রাণ। ঠিক তখনই প্রকৃতি সাজল অপরূপ রক্তিম সাজে। প্রথম দেখায় মনে হবে সাগর পাড়ে কেউ হয়তো নিজের হাতে যত্ন করে বিছিয়ে দিয়েছে আগুনজ্বলা লাল রঙের কার্পেট।
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশের পানজিনের লাল সৈকত এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। জানা গেছে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এর রূপ পুরোপুরি পাল্টে যায়, বিস্তীর্ণ সৈকতে ছড়িয়ে পড়ে গাঢ় লালের সমারোহ। এই অদ্ভুত রঙের জন্য দায়ী আর কেউ নয়, বরং প্রকৃতিকভাবেই জন্ম নেওয়া গুল্ম সিপউইড।
বছরের বেশির ভাগ সময় সবুজ গুল্মে ভরা থাকে পানজিন সমুদ্রসৈকত। কিন্তু শরৎ আসতেই ‘সিপউইড’ রং বদলায়। কঠিন আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ধারণ করে বিশেষ রং, আর তখনই গোটা সৈকত আগুনের রঙে ঝলসে ওঠে।
আর সেই দৃশ্য উপভোগ করতে কাঠের বোর্ডওয়াক ধরে হাঁটেন হাজারো মানুষ। কোথাও শিল্পীরা পাখির পোশাক পরে নৃত্য পরিবেশন করেন, যেন মনে করিয়ে দেন—এ সৈকত শুধু মানুষের নয়, সারস আর বিরল পাখপাখিদেরও। পানজিন ওয়েটল্যান্ড পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ খড় ও গাছের বন। এটি অভিবাসী পাখিদের জন্য আদর্শ আশ্রয়কেন্দ্র। এমন পরিবেশে এসে দর্শনার্থীরা হারিয়ে যান অন্য এক রূপকথার জগতে। এ যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা এক রক্তিম কবিতা, যা শরতের শেষ আলোকচ্ছটায় জ্বলে ওঠে। সূত্র : ভায়োরি
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে...
মন্তব্য করুন