বিশ্ব যখন আফগানিস্তানকে একঘরে করে রেখেছে তখন কাবুলের পাশে দাঁড়াচ্ছে ইরান। বুধবার (১২ জুন) আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি পরিকল্পনা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে ইরানের তেলশোধনকারী ‘ভিরা এনার্জি অ্যান্ড কেমিস্ট্রি কোম্পানি’। এর আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে সভা করেন কোম্পানিটির প্রতিনিধিরা। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ এ খবর প্রচার করেছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আখুন্দজাদা আব্দুল সালাম জাওয়াদ বলেন, কীভাবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আফগানিস্তানের অপরিশোধিত তেল শোধন করা হবে বৈঠকে তার রোডম্যাপ উপস্থাপন করে ভিরা এনার্জি। এতে কাবুলের উৎপাদিত তেলের গুণগতমান বহুগুণে বাড়বে বলেও আশ্বস্ত করা হয়।
এদিকে আফগানিস্তানের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বলেছে, স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য তেল খাতে ছোট-বড় শোধনাগার স্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই চেম্বারের কর্মকর্তাদের মতে, আফগানিস্তানে তুলনামূলকভাবে অল্প বিনিয়োগে তেল শোধনাগার নির্মাণে ইরানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খান জান আলোকজয় বলেন, দামের ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেল খুবই সস্তা। কিন্তু সেই তেল রিফাইন করে মানসম্পন্ন পেট্রোল বা ডিজেলে পরিণত করা হলে অনেক বেশি দাম পাওয়া যাবে।
আর দেশের খনিতে মানসম্মত শোধনাগার গড়ে উঠলে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে খনিজের দাম কমবে। একই সঙ্গে রপ্তানি থেকেও বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।
আফগান খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশটির জ্বালানি চাহিদার ১০ থেকে ১৫ শতাংশই আসে কাশকারি তেলক্ষেত্রের মাধ্যমে। এ ছাড়া দেশটিতে আরও বেশকিছু তেলক্ষেত্র রয়েছে।
তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার ব্যারেল তেল উৎপদান করছে কাবুল। প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে এই সংখ্যা কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়বে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
মন্তব্য করুন