কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিষিদ্ধ ভয়ংকর অস্ত্র বানাচ্ছেন পুতিন, টার্গেট কে?

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন ও দেশটির ক্ষেপণাস্ত্রের গ্রাফিক্স। ছবি : সংগৃহীত
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন ও দেশটির ক্ষেপণাস্ত্রের গ্রাফিক্স। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের খেল বোঝা খুব মুশকিল। যখনই মনে হয়েছে, পশ্চিমারা পুতিনের টুঁটি চেপে ধরেছেন, তখনই অন্য কৌশলে পথ খুঁজে নিয়েছেন তিনি। এবার দাবার ছকের খেলায় নতুন করে চেকমেট দিলেন পুতিন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে নিষিদ্ধ মিসাইল বানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক চুক্তির কারণে এতদিন পর্যন্ত মাঝারি পাল্লার ওই মিসাইল বানানো বন্ধ রেখেছিল ওয়াশিংটন ও মস্কো। তবে এবার উল্টো পথ বেছে নিয়েছেন পুতিন।

চার দশকের বেশি সময় ধরে চলা স্নায়ুযুদ্ধের সময় ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক নেতা মিখাইল গর্বাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ঐতিহাসিক এক চুক্তি করেছিলেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী ৫০০-৫৫০০ কিলোমিটার মাত্রার স্থল থেকে নিক্ষেপযোগ্য পরমাণু বোমা বা প্রচলিত মিসাইল ছোড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চুক্তি ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি বা আইএনএফ নামে পরিচিত। তবে ২০১৯ সালে রাশিয়ার ওপর চুক্তি ভঙ্গে দায় চাপিয়ে চুিক্ত থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

পুতিন এবার নিষিদ্ধ ঘোষিত মাঝারি পাল্লার সেই মিসাইলের উৎপাদন শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বৈঠকে পুতিন বলেন, আমাদের এই স্ট্রাইক সিস্টেমগুলোর উৎপাদন শুরু করতে হবে এবং তারপর প্রকৃত পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন হলে - কোথায় স্থাপন করা হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চুক্তি অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর রাশিয়া এখনও এ ধরনের মিসাইল বানায়নি বলেও জানিয়েছেন পুতিন।

ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের মিসাইল ব্যবস্থা উৎপাদনের দিকে নজর দিয়েছে। চলতি বসন্তে ফিলিপাইনের সঙ্গে সামরিক মহড়া এই মিসাইল ব্যবস্থার পরীক্ষাও চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী। সেই কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, আজ এটা জানা যায় যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু এই ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমগুলো তৈরিই করে না, ইতোমধ্যে সেগুলো মহড়ার জন্য ডেনমার্কে নিয়ে এসেছে। অতি সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়, এই ব্যবস্থা ফিলিপাইনে মোতায়েন রয়েছে।

ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আইএনএফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া তারই একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখন কেবল একটি চুক্তি রয়েছে। নিউ স্ট্র্যাটেটিজিক আর্মস রিডাকশন চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ দেড় হাজার পরমাণু ওয়ারহেড, ৭০০ মিসাইল ও বোমারু বিমানের বেশি মোতায়েন করতে পারবে না। তবে ২০২৬ সালে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এরপর কী হবে, তা কেউ জানে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানের কমান্ডার কানি গুপ্তচর কি না, জানাল মোসাদ

যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি

চাল না কিনলে জাপানে নতুন করে শুল্কের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

হলি আর্টিসান হামলার আজ ৯ বছর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

কারাগারে যেমন কাটছে মমতাজের

পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল জমিয়ত

মহররমে বিদআত ও ভ্রান্ত রীতি : যা করণীয়

যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের পদত্যাগ

১০

সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক পদ ফাঁকা

১১

দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে আজ 

১২

০১ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৩

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে

১৪

মঙ্গলবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৫

১ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে তালা দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা

১৭

চাকসু ভবনকে ‘ভাতের হোটেল’ ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

১৮

৭ দিন ধরে খোঁজ মিলছে না এসএসসি ফলপ্রার্থী রিয়ামনির

১৯

আট মামলার আসামিকে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

২০
X