রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত তিন লাখের বেশি সেনা সদস্য হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) ডগলাস ম্যাকগ্রেগর। একটি ইউটিউব চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান বলে খবর প্রকাশ করেছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।
ডগলাস ম্যাকগ্রেগর বলেন, ‘পশ্চিমাদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার পর গত জুনে মস্কোর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে কিয়েভ। এটা জুলাই মাসেও অব্যাহত ছিল। এখন আগস্ট মাস। মনে হচ্ছে এটি সম্পূর্ণরূপে ছড়িয়ে পড়েছে।’
সাবেক মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বর্তমানে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থা আসলেই ভয়াবহ। তারা মাত্র এক বছর আগে যা ছিল তার তুলনায় বর্তমানে কঙ্কালসারে পরিণত হয়েছে। আমরা মনে করি, ইউক্রেনীয়রা তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ সেনা হারিয়েছে। আরও লাখ লাখ সেনা আহত হয়েছে।’
আরও পড়ুন : জুন-জুলাইয়ে ৪৩ হাজার সৈন্য হারিয়েছে ইউক্রেন
গত জুনে রাশিয়ার দখল করা পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চল পুনর্দখলে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরুর কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ প্রত্যাশের চেয়ে ধীরে এগিয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাশিয়ার দাবি, গত দুই মাসে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানে ইউক্রেনের ৪৩ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পাল্টা অভিযান শুরুর পর থেকে (জুন-জুলাই) ৪৩ হাজারের বেশি সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন। তবে আহত হয়ে ইউক্রেন বা অন্য দেশে হাসপাতালে নেওয়া সেনা, বিদেশি ভাড়াটে সেনা ও দূর থেকে চালানো হামলায় নিহত সেনাদের হিসাব তাদের কাছে নেই।
এ ছাড়া গত জুন ও জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ৭৬টি এম৭৭৭ কামান ব্যবস্থা হারিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেন বাহিনীর সাঁজোয়া যান, ট্যাংকসহ ৪ হাজার ৯০০টি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাসহ আরও অনেক সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন