কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুদ্ধের অন্ধকার : সন্তান ধারণে অনীহা তরুণ দম্পতিদের

ছবি : প্রতীকী
ছবি : প্রতীকী

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্র প্রভাব দেশটির তরুণ দম্পতিদের মধ্যে সন্তানের প্রতি আগ্রহ হ্রাস করছে, যা একদিকে দেশটির ভবিষ্যৎ জনসংখ্যা সংকটের পথে ঠেলে দিচ্ছে।

রাশিয়ার পুতিন সরকার, যা ইতোমধ্যে যুদ্ধের কারণে ব্যাপক মানবিক ক্ষতির সম্মুখীন, এখন বিপুল সংখ্যক সেনা হারানোর পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে, যুদ্ধের ভয়াবহতা, সংসার জীবনের অনিশ্চয়তা এবং পরিবারের টানাপড়েন তরুণদের সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধের প্রভাব শুধু সামরিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও গভীর প্রতিকূলতা সৃষ্টি করছে। দীর্ঘকালীন যুদ্ধের ফলে বহু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে তাদের সামাজিক ও মানসিক অবস্থার ওপর।

পুরুষ সদস্যদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান, অনেকের মৃত্যুবরণ কিংবা গুরুতর আহত হওয়া তরুণ দম্পতিদের মধ্যে সন্তান ধারণের ইচ্ছা কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষত তরুণরা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ানোর কারণে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নানা আর্থিক ও সামাজিক সুবিধার প্রস্তাব দিলেও, যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কাটাতে না পারলে এসব পরিকল্পনা সফল হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুতিন সরকারের পদক্ষেপগুলো তরুণদের মধ্যে সন্তানের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে চাইলেও, যুদ্ধে নিহত আত্মীয়স্বজনের শোক, গৃহযুদ্ধের আতঙ্ক এবং সংকটের মধ্যে থাকাটা তাদের মনোভাবকে আরও নেতিবাচক করে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে, সন্তান ধারণের ইচ্ছা প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পুতিন সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর চেষ্টা করতে হবে এবং তরুণদের মধ্যে নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।

আগামী দিনের রাশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তরুণ প্রজন্মের ওপর এবং যদি তারা অস্থিরতার মধ্যে সন্তানের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, তবে দেশের জনসংখ্যা সংকট আরও গুরুতর হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ

থানায় ককটেল নিক্ষেপ, ৩ পুলিশ আহত

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে মধ্যরাতে হামজার পোস্ট

‘আই ডোন্ট কেয়ার’ লেখা ফটোকার্ড পোস্ট, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে থানায় সোপর্দ

ইতালিতে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ভুক্তভোগীদের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’: জাতিসংঘ

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত যে ৩২ দলের

‘হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় যেদিন কার্যকর হবে, সেদিন আমি আনন্দিত হবো’

সাবেক এমপি হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের

সড়ক অবরোধের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

১০

দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির

১১

আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ

১২

রায়ে ‘ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

১৩

বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ, আছেন যারা

১৪

শেখ হাসিনার মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী

১৫

গাজীপুর জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

১৬

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় মা-ছেলেকে পেটাল গ্রাম পুলিশ

১৭

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান মারা গেছেন

১৮

নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সংকট দূর হবে না : কফিল উদ্দিন

১৯

পটুয়াখালীতে বিএনপির প্রস্তাবিত নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ

২০
X