কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তুরস্কের ভয়ংকর ড্রোনের জনক কে এই সেলচুক বায়রাকতার

আকাশে বায়রাকতার ড্রোন ও তার জনক সেলচুক বায়রাকতার। ছবি : সংগৃহীত
আকাশে বায়রাকতার ড্রোন ও তার জনক সেলচুক বায়রাকতার। ছবি : সংগৃহীত

সামরিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সাড়া জাগানো ড্রোন হলো বায়রাকতার টিবি-২। এটি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। এছাড়া আজারবাইজান, লিবিয়াসহ আরও অনেক দেশেও সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে।

সাড়া জাগানো এ ড্রোনের জনক হলেন সেলচুক বায়রাকতার নামের এক তুর্কি প্রকৌশলী। কেবল প্রকৌশলী নন, একাধারে তিনি পাইলট এবং ব্যবসায়ীও। তুরস্কের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়কারেরর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) এবং পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সেলচুক বায়রাকতার। তিনি বায়রাকতার টিবি২ ড্রোন এবং তুরস্কের প্রথম মানববিহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমার প্রধান ডিজাইনার হিসেবে পরিচিত।

তিনি ১৯৭৯ সালে ইস্তাম্বুলের সারিয়ের জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ১৯৮৪ সালে সেলচুকের পিতা ওজদেমির বায়রাকতার বায়কার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। রুতে এটি অটোমোটিভ যন্ত্রাংশ নির্মাণ করলেও পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা খাতে প্রবেশ করে। সেলচুক ইস্তাম্বুল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এমআইটি) উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

তুর্কি এ তরুণ দেশে ফিরে ড্রোন প্রযুক্তির গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্বেই বায়রাকতার টিবি২ ড্রোনটি তৈরি হয়, যা আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি পেয়েছে। তার গবেষণা মূলত মানববিহীন বিমান ব্যবস্থাপনা ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল। ​ সেলচুক বায়রাকতার তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জামাতা। তিনি তুরস্কের জাতীয় প্রযুক্তি উদ্যোগের (ন্যাশনাল টেকনোলজি ইনিশিয়েটিভ) একজন প্রধান পৃষ্ঠপোশক। এছাড়া তিনি তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ​

বায়রাকতার টিবি২ ড্রোন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম কার্যকর ও জনপ্রিয় ড্রোন হিসেবে বিবেচিত। এটি তুরস্কের পাশাপাশি ইউক্রেন, আজারবাইজান, লিবিয়া, ইথিওপিয়া, সিরিয়া, নাগোরনো-কারাবাসহ আরও অনেক দেশে সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে। এই ড্রোনের কার্যকারিতা আধুনিক যুদ্ধনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। ​

বায়রাকতার টিবি-২ সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা এবং তুলনামূলক কম খরচের জন্য বিখ্যাত। এই ড্রোন তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পকে বৈশ্বিক মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে নিয়ে গেছে এবং রপ্তানি বাজারে তুরস্কের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

জুলাই সনদ নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের আলটিমেটাম

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পেতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন : ফখরুল

বাড়ছে পানি, পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী জনপদ

১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান : সরকারকে সালাহউদ্দিন

৫৮ বছর বয়সেও ফুটবল মাঠ কাঁপাচ্ছেন ‘কিং কাজু’

বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মোসাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি এখন ইরানের কব্জায়

বিয়ের কেনাকাটা করা হলো না রিমঝিমের

১০

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক 

১১

প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু ব্যবসা, অস্তিত্ব সংকটে নদী

১২

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নাগরিক সেবা বেগবান করার ঘোষণা ইশরাকের

১৩

‘ইসরায়েলে পরমাণু হামলা চালাবে পাকিস্তান’

১৪

দুদকের দৃষ্টিতে অভিযুক্ত টিউলিপ : চেয়ারম্যান

১৫

অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী শিমুল গ্রেপ্তার

১৬

ভারতে আবারও বিমানে আগুন

১৭

তাণ্ডব না, ঈদের সেরা সিনেমা ইনসাফ: ইকবাল

১৮

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে কোন দিকে ভারত

১৯

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুখবর দিল বিমান বাংলাদেশ

২০
X