ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে নোভা কাখোভকা বাঁধ ধসে পড়ার ঘটনায় আশপাশের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়। এর ফলে বিশুদ্ধ পানি আর খাদ্যের সংকটে পড়ে অসংখ্য মানুষ। বিভিন্নভাবে সহায়তার চেষ্টা করা হলেও যুদ্ধ ছাপিয়ে তাদের কাছে পৌঁছানো সহজ হচ্ছে না। এর মধ্যেই এসব বন্যার্ত মানুষকে সহায়তার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। খেরসন অঞ্চলের রুশ-অধিকৃত এলাকার ওই মানুষদের সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বন্যায় বাড়িঘর ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। এই বাঁধ ধসে পড়ায় তৈরি হয়েছে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা।
ইউক্রেনে জাতিসংঘের সমন্বয়কারী ডেনিস ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রুশ ফেডারেশন সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলোতে প্রবেশের জন্য আমাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।’ রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডেনিস ব্রাউন আরও বলেন, ‘বাঁধ ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিসহ যাদের জরুরিভাবে সহায়তার প্রয়োজন, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘ যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
এদিকে ইউক্রেনের নোভা কাখোভকা বাঁধ ধসে পড়ায় এর প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বব্যাপী। জাতিসংঘ বলছে, বাঁধটি ধসে পড়ায় খাদ্য নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জাতিসংঘ জানায়, এই বাঁধ ধসে পড়ার কারণে বাড়তে পারে খাদ্যের দাম। এ ছাড়া খাবার পানির সংকটে পড়তে পারে কয়েক হাজার মানুষ।
জাতিসংঘের সহায়তাবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ‘বাঁধটি ধসে পড়ায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে খাদ্য নিরাপত্তায়। এর প্রভাব যে শুধু ইউক্রেনে পড়বে তা নয়, পুরো বিশ্বই এর প্রভাব অনুভব করবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি খাদ্যের দাম আরও বাড়বে।’
সম্প্রতি হামলা চালিয়ে নোভা কাখোভকা বাঁধটি ধসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে দিনিপ্রো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের এলাকা তলিয়ে যায়। এ ছাড়া প্লাবিত হয় বিপুল কৃষিজমি। এ কারণে ইউক্রেনের কৃষি খাতে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন