ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞায় মস্কো এক্সচেঞ্জের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটি। এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ নিতে এক মুহূর্তও দেরি করেনি রাশিয়া।
পদক্ষেপ হিসেবে ডলার ও ইউরোর লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়ার প্রধান শেয়ার ও মুদ্রাবাজার মস্কো এক্সচেঞ্জ।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, মস্কো এক্সচেঞ্জ গ্রুপের বিপক্ষে নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের কারণে মার্কিন ডলার ও ইউরোভিত্তিক সম্পদের লেনদেন ও নিষ্পত্তি স্থগিত থাকবে।
মস্কো এক্সচেঞ্জ রাশিয়ার প্রধান শেয়ার ও মুদ্রাবাজারই নয়; বরং এটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নিকাশঘর হিসেবেও কাজ করে থাকে। এ কারণে এবারের মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে একটি বড় আর্থিক শাস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছে, মস্কো এক্সচেঞ্জ গ্রুপের বিপক্ষে নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের কারণে মার্কিন ডলার ও ইউরোভিত্তিক সম্পদের লেনদেন ও নিষ্পত্তি স্থগিত থাকবে। তবে যে কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি রাশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে মার্কিন ডলার ও ইউরো কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন। নিজস্ব হিসাবে যদি কারও ডলার থাকে, তাহলে তা নিরাপদ থাকবে।
যদিও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ইতিমধ্যেই পশ্চিমা মুদ্রার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়েছে বেশির ভাগ রুশ কোম্পানি ও ব্যাংক। মস্কো এক্সচেঞ্জে এখন যত বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয়, তার বেশির ভাগই চীনা মুদ্রা ইউয়ান।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরের তিন দশকে দেশটির মুদ্রা রুবলের অনেকবার অবমূল্যায়ন হয়েছে। এ নিয়ে এক ধরনের ভয় রয়েছে রুশ সমাজে।
ফলে অনেক রুশ নাগরিক পশ্চিমা মুদ্রায় তাদের অর্থ সঞ্চয় করতে পছন্দ করেন। আর অর্থনৈতিক সংকটের সময় রুবল বিক্রি করে দেন তারা।
বুধবারও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরপর ডলারের দাম ২০০ রুবল পর্যন্ত উঠেছিল। পরে প্রতি ডলারের দাম ৮৯ রুবলে নির্ধারণ করে দেয় রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মন্তব্য করুন