কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারতে বোমায় এত শিশু নিহত হচ্ছে কেন?

কলকাতার একটি গলিতে খেলছে শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত
কলকাতার একটি গলিতে খেলছে শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হাত বোমার বিস্ফোরণে শিশুদের মৃত্যু যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। শিশুরা মূলত রাস্তার পাশে পড়ে থাকা বল সদৃশ বস্তু কুড়িয়ে পেয়ে তা নিয়ে খেলতে গেলেই ঘটে বিস্ফোরণ। গত তিন দশকে এধরনের হাতবোমার বিস্ফোরণে অন্তত ৫৬৫টি শিশু আহত বা নিহত হয়েছে। বিবিসি আই ইউনিটের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বিবিসি বলছে, মূলত নির্বাচন সামনে আসলেই এধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। রাজ্যের সহিংস রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করার লক্ষ্যে দশকের পর দশক চলা রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে এসব বোমার ব্যবহার হচ্ছে। আর এই রাজনৈতিক সহিংসতার কারণেই এভাবেই বলি হচ্ছে শিশুরা।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক পঙ্কজ দত্ত বিবিসিকে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রতিপক্ষের ওপর প্রতিশোধ নিতেই এধরনের বোমার ব্যবহার হচ্ছে। হাতবোমাগুলো কালো পলিথিনে মুড়িয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে এমনভাবে প্রতিপক্ষের এলাকায় ফেলে রাখা হয় যাতে সহজে কেউ বুঝতে না পারে এটা কোনো বিস্ফোরক। পশ্চিমবঙ্গে এটির ব্যবহার হচ্ছে বহু আগে থেকে, শতবর্ষেরও বেশি সময় ধরে।

ওই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে চলতি বছরের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এমন বোমার বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছে অন্তত ৫৬৫টি শিশু। এর মধ্যে মারা গেছে ৯৪টি শিশু আর আহত ৪৭১টি। এর অর্থ, প্রায় তিন দশক ধরে প্রতি ১৮ দিনে এ রাজ্যে বোমা সহিংসতার শিকার হচ্ছে ১টি শিশু।

রাজ্যের প্রভাবশালী দুটি সংবাদমাধ্যমে ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত খবরের পরিসংখ্যান থেকে বিবিসি দেখেছে, এই সময়েরে মধ্যে বোমার বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছে অন্তত ৫৬৫টি শিশু। এর মধ্যে মারা গেছে ৯৪টি শিশু আর আহত ৪৭১টি। এর অর্থ, প্রায় তিন দশক ধরে প্রতি ১৮ দিনে এ রাজ্যে বোমা সহিংসতার শিকার হচ্ছে ১টি শিশু।

তবে এর প্রকৃত সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে রিপোর্টে। কারণ, বিবিসি অনুসন্ধানকারী দল দেখেছেন, বোমায় শিশুদের আহত হওয়ার কোনো কোনো ঘটনায় সংবাদপত্র দুটিতে খবর প্রকাশিত হয়নি। তাই বোমা সহিংসতায় রাজ্যটিতে শিশুদের হতাহত হওয়ার প্রকৃত ঘটনা আসলেই কত তা অজানা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে রাজ্য সরকার ও মাওপন্থি বিদ্রোহীদের (নকশাল নামেও পরিচিত) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। একইসময়ে শুরু হয় বিরোধীদের ভয় দেখাতে ও কণ্ঠরোধ করতে বোমার ব্যবহার। বিশেষ করে নির্বাচনকালে বোমা সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটে। অনেক সময় ফেলে রাখা বোমা অবিস্ফোরিত থেকে যায় এবং এর শিকার হয় সাধারণত শিশুরাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মধ্যরাতে রাজধানীর আরেক স্থানে বাসে আগুন

রাজধানীর ৮ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, তিন বাসে আগুন

বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে কোনো নির্বাচন নয় : হাসনাত

পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম

মলিকুলার ডায়াগনোসিস-গবেষণা-বৈজ্ঞানিক দক্ষতা উন্নয়ন যৌথ কাজের অঙ্গীকার

পাকিস্তানি পেসারের বাড়িতে বন্দুক হামলা

সরকারি মেডিকেল কলেজে কমলো ৩৫৫ আসন

মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানা গেল, আবেদনে যোগ্য যারা

১০

এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫

১১

বিইউএফটি জাতীয় কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত

১২

স্বাগতিকদের অম্লমধুর দিন

১৩

রাতে রাজধানীর আরেক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ

১৪

এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল নিক্ষেপ

১৫

জামিনে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৬

প্লট বা ফ্ল্যাট হস্তান্তরে কারও অনুমতি লাগবে না : গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

১৭

কুড়ির এশিয়ান কাপে সঙ্গী চীন

১৮

প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার

১৯

বন্দর ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মাশুল নিয়ে দর-কষাকষি চলছে : নৌ উপদেষ্টা

২০
X