কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলি সেনারা যেভাবে সিনওয়ারের সন্ধান পেয়েছিল

হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি : সংগৃহীত
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি : সংগৃহীত

ইয়াহিয়া ইব্রাহিম হাসান সিনওয়ার ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি নেতা এবং রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতাকামী এই নেতাকে নিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল, দীর্ঘ সময় মাটির নিচে হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গের মধ্যে একদল দেহরক্ষী এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘মানবঢাল’ বানিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

তবে মৃত্যুর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মুখে মাত্র তিনজন সঙ্গীকে নিয়ে একটি ভবনের কক্ষে প্রবেশ করলেও শেষ মুহূর্তে তিনি ছিলেন একা। সিনওয়ারের অবস্থান শনাক্তকারী ড্রোনের ক্যামেরায় এই নেতাকে হত্যার আগের মুহূর্তের ভিডিও এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে।

বলা হয়ে থাকে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর মূল কারিগর বলে মনে করা হয় সিনওয়ারকে। গত জুলাইয়ে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যার শিকার হলে ৬১ বছর বয়সী সিনওয়ারকে হামাসের সামগ্রিক নেতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ নিশ্চিত করেন, বুধবার সেনারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও বলছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামাসের শীর্ষ নেতাদের অবস্থান শনাক্তের পর ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালায়। আইডিএফের ৮২৮ ব্রিগেডের সেনারা সেখানে তিনজনের অবস্থান শনাক্ত এবং তাদের হত্যা করা হলে ডিএনএ পরীক্ষা করে তাদের মধ্যে একজনকে সিনওয়ার বলে নিশ্চিত করা হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, তাদের ৮২৮তম ব্রিগেডের একটি ইউনিট বুধবার রাফার তাল আল-সুলতান এলাকায় টহল দিচ্ছিল। ওই সময় সেখানকার একটি ভবনে অভিযান চালানো হলে ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করা হয়। ওই তিনজনের মধ্যে একজনের সঙ্গে হামাস নেতা সিনওয়ারের শারীরিক গঠনের মিল পান ইসরায়েলি সেনারা। পরে সেই মৃতদেহের আঙুলের একটি অংশ পরীক্ষার জন্য ইসরায়েলে পাঠানো হয়। আরও পরে ওই এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামলায় প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবন থেকে মৃতদেহগুলো বের করে ইসরায়েলে নিয়ে যায় অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যরা। ইসরায়েলেই ডিএনএ পরীক্ষা করে এবং ড্রোনের ভিডিও ও কয়েকটি গ্রাফিতি ছবির সাহায্যে সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এ নিয়ে জানান, ওই ভবনে যে সিনওয়ার আছেন, সেটি তাদের বাহিনী নিশ্চিতভাবে জানত না। তাদের অভিযান শুরু হলে তিনজন বন্দুকধারীকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দৌড়াতে দেখেছে সেনারা। একবার গুলি চালানো হলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ও সিনওয়ার একা ভবনের একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর একটি ড্রোন দিয়ে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে পালানোর সময় দুই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পঞ্চগড়ে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

নামাজ শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সোহেল, ঘরে ঢুকে মাথায় গুলি

প্রতিদিন মদ খেলে মস্তিষ্কে যা ঘটে জানাচ্ছে গবেষণা

আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম : প্রধান উপদেষ্টা

জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, সবাই নিহত

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি যেসব দল

কালবেলা পাঠকদের কাছে আস্থা অর্জন করতে পেরেছে : টুকু

সাতক্ষীরার তিন কলেজে পাস করেনি কেউ

রুই মাছের ৮ পদ, আজই বানিয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের রেসিপিটি

১০

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রদর্শনী / ‘দেশ বিনির্মাণে তারেক রহমানের পরিকল্পনা সবার কাছে পৌঁছে দেব’

১১

কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়

১২

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন যারা

১৩

ঝিনাইদহে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন / ‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে কালবেলা পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে’ 

১৪

কলেজে নেই শিক্ষক, ৮ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল

১৫

ফল খাওয়া নিয়ে ৫ ধারণা — বিজ্ঞান যা বলে

১৬

উইন্ডিজ সিরিজে কেমন হবে মিরপুরের উইকেট?

১৭

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল

১৮

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যারা এলেন 

১৯

কীভাবে কাজ করবেন, জানালেন নবনির্বাচিত রাকসু ভিপি

২০
X