কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়াল

ইসরায়েলি হামলায় গাজার জাবালিয়া এলাকায় ধোয়া উড়ছে। ছবি  : সংগৃহীত
ইসরায়েলি হামলায় গাজার জাবালিয়া এলাকায় ধোয়া উড়ছে। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলা ১৩ মাসের যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা নিহত বেসামরিক এবং হামাস যোদ্ধাদের তালিকা পৃথকভাবে করেন না। তবে তারা বলেছে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ১৭ হাজারের বেশি জঙ্গিকে হত্যা করেছে। তবে এর স্বপক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৪৪,০৫৬ জন নিহত এবং ১০৪,২৬৮ জন আহত হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে বা চিকিৎসকরা যেতে পারেননি এমন জায়গায় হাজার হাজার মৃতদেহ চাপা পড়েছে।

মূলত হামাস যোদ্ধারাই এ যুদ্ধ শুরু করে। তারা গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। তখন প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এর চেয়ে জঘন্য কাজটি ছিল ২৫০ জন নিরপরাধ মানুষকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে আসা। প্রায় ১০০ জিম্মি এখনও গাজার ভিতরে রয়েছেন। তাদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছেন তা নিশ্চিত নয়।

এদিকে লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮০ জনে পৌঁছেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ১৫ হাজারের বেশি আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ লেবাননের বহু গ্রাম।

তবে আশার আলো দেখাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালতের বিচারকরা। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত মে মাসে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করে ইসরায়েল। এতে ওই সময় আদেশটি স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ শুনানি শেষে একটি প্রাক-বিচারক চেম্বার আদালত নিজস্ব এখতিয়ারে ইসরায়েলের চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করে। এরপর নেতানিয়াহু, ইয়োভ গ্যালান্ট ও দেইফকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজিরের নির্দেশ জারি করা হয়।

মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হলেও তার জীবিত থাকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, জুলাই মাসে গাজায় একটি বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। তবে তার নিহতের দালিলিক প্রমাণ আদালতে নেই। তাই আদালতের চোখে দেইফ এখনও জীবিত এবং যুদ্ধাপরাধের আসামি।

পরোয়ানা জারির আদেশে বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই তিন ব্যক্তির ওই অপরাধের দায় বহন করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে হয় আ.লীগ থাকবে না হয় আমরা : হাসনাত আব্দুল্লাহ

টেবিল টেনিসের দুই তারকা খেলোয়াড়ের পাশে নাভানা ফার্মা

এনআইডি নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল

কী বার্তা দিচ্ছেন ঋতুপর্ণা চাকমা!

প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন, সপরিবারে পলাতক আশিক

ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতির পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা 

জয় দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু বরিশালের

ওবায়দুল কাদেরের কথিত পালিত পুত্র হিরু কারাগারে

চসিকের নিয়ন্ত্রণে ফিরল প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

অবৈধভাবে সার বিক্রির দায়ে জরিমানা ও কারাদণ্ড

১০

সর্বদলীয় বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রবেশ

১১

চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত ‘নগদ’ প্রশাসকের কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা : হাইকোর্ট 

১২

রামগড় স্থলবন্দর চালু করতে কমিটি গঠন

১৩

দুদকের মহাপরিচালক হলেন আবদুল্লাহ্-আল্-জাহিদ

১৪

মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের

১৫

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

১৬

রাবিতে পোষ্য কোটা ইস্যুতে জরুরি পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি

১৭

শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন 

১৮

সেই চিকিৎসক শাহেদারার জামিন

১৯

ভারতের ভিসা পেলেন না পরী মণি

২০
X