মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আসাদের পতন পাল্টে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে পতন ঘটেছে সিরিয়ার দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতাসীন আসাদ পরিবারের। এতদিন রাশিয়া ও ইরানের প্রত্যক্ষ মদদে নিজ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্বিচার গণহত্যা চালিয়ে টিকে থাকলেও সাম্প্রতিক ভূরাজনীতির পটপরিবর্তন ক্রমেই শক্তিহীন করে ফেলে বাশার আল আসাদ সরকারকে। ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা যুদ্ধের কারণে সিরিয়ান সরকারের ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র অনেকটা বাধ্য হয়েই সিরিয়া থেকে নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। বলা হচ্ছে দামেস্কের এই পটপরিবর্তন পাল্টে দেবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার রাজনীতিকে।

গেল এক দশক ধরে আসাদ সরকারের অন্যতম শক্তি ছিল ইরান। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রত্যক্ষ সামরিক সহায়তা নিয়েছেন আসাদ। অন্যদিকে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ান সেনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে সিরিয়ার রণাঙ্গনে।

এ সময়টাতে সিরিয়া ছিল হিজবুল্লাহর কাছে ইরানের অস্ত্র সরবরাহের অন্যতম রাস্তা। তবে গেল এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান গাজা যুদ্ধ এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন হিজবুল্লাহকে একপ্রকার পঙ্গু করে দিয়েছে। অন্যদিকে, ইরান সমর্থিত ইয়েমেনে হুতিদের ওপর ইঙ্গো-মার্কিন জোটের ক্রমাগত বিমান হামলা তাদেরও অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে।

পাশাপাশি ইরাকে থাকা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর মার্কিন হামলা ইরানের নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ অক্ষকে ক্রমাগত দুর্বল করে তুলেছে, যার প্রভাব পড়ছে গাজায় যুদ্ধরত স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ওপরও। ফলে এমন পরিস্থিতিতে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে ইসরায়েলে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে তুরস্ক। গৃহযুদ্ধের শুরু থেকেই আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের শক্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। যদিও পতনে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শাম তথা এইচটিএসকে সমর্থন দেওয়ার কথা অস্বীকার করছে দেশটি। গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আল কায়দা সংশ্লিষ্টতার শক্ত অভিযোগ রয়েছে, যদিও কয়েক বছর পূর্বেই তারা আল-কায়দা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করছে।

আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ার ক্ষমতা যদি এইচটিএসের হাতে অর্পিত হয় তবে নতুন এক সমীকরণের মুখে পড়তে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। গোষ্ঠীটিকে এরই মধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও তুরস্ক। এইচটিএস নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের প্রশাসন পর্যালোচনা করে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ক্ষমতার দখল পেলে কট্টর মৌলবাদী আইন প্রতিষ্ঠা করতে পারে গোষ্ঠীটি, যা পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য শঙ্কার কারণ হিসেবে দাঁড়াবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদে জোরালো পদক্ষেপের আশ্বাস ইশরাকের

কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল আইইবি

কৃষি জমি নিয়ে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ, যুবশক্তির নেত্রী আটক

এনসিপি নেতাকে গুলি, দেশত্যাগ ঠেকাতে বিজিবির কড়া নজরদারি

মহিলা দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক হলেন নার্গিস

আপনার একটি ভোটে নির্ধারণ হবে আগামী পাঁচ বছরের ভাগ্য : সেলিমুজ্জামান

জার্নাল ও গঠনতন্ত্রের মোড়ক উন্মোচন / ‘নিকডু’ একটি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হবে, প্রত্যাশা চিকিৎসকদের

রাতে অভিযান চালিয়ে আ.লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার

সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার বিক্ষোভ / সহিংসতা-নৃশংসতায় তীব্র ক্ষোভ, জড়িতদের শাস্তি দাবি

১০

শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে আ.লীগ নেতার পদত্যাগ

১১

রাতে সড়কে ঝরল তাজা তিন প্রাণ

১২

এবার সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন নুর

১৩

রেকর্ড মুনাফায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন

১৪

যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টা

১৫

পটুয়াখালীতে কুকুরছানা পিটিয়ে হত্যার পর এলাকায় ক্ষোভ

১৬

ঝিনাইদহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফিরোজ

১৭

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ‘ভিন্নরকম’ কর্মসূচি

১৮

জামায়াতের এক নেতা বহিষ্কার

১৯

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, ঢাকায় যাবেন বরিশালের পাঁচ লক্ষাধিক নেতাকর্মী

২০
X