কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

একসময়ের গাজার বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র ‘শিফা হাসপাতালের’ প্রাঙ্গণ থেকে লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি : সংগৃহীত
একসময়ের গাজার বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র ‘শিফা হাসপাতালের’ প্রাঙ্গণ থেকে লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আরও ৬১ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় তাদের এই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়েছিল। গত কয়েক দিনে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স দলগুলোর প্রচেষ্টায় এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৬ মার্চ) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনটিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, উদ্ধার করা দেহাবশেষগুলোকে যথাযথভাবে সমাহিত করার প্রক্রিয়া চলছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স দলগুলো গত ১৩ মার্চ থেকে লাশ উত্তোলনের কাজ শুরু করে।

প্রথম দিনে, ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ১০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ ৪৮টি লাশ উদ্ধার করেন। পরবর্তী দিনে তারা আরও ১৩টি লাশ উদ্ধার করে, যার মধ্যে ৩টি অজ্ঞাত রয়েছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়া লাশগুলো পরিবারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, অন্যগুলো ফরেনসিক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের ধারণা, যুদ্ধের সময় হাসপাতালের উঠোনে প্রায় ১৬০টি লাশ সমাহিত করা হয়েছিল। ফলে, লাশ উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, একসময় গাজার বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র শিফা হাসপাতাল বছরে ৪ লাখ ৬০ হাজার মানুষের সেবা প্রদান করত। এখানে জরুরি সেবার পাশাপাশি অস্ত্রোপচার, ডায়ালাইসিস চিকিৎসা এবং মাতৃস্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হতো।

কিন্তু গাজার ওপর বর্বর আগ্রাসনের সময় ইসরায়েলি বাহিনী বারবার শিফা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে এবং হাসপাতালটি ধ্বংস করে দেয়। ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর এখানে প্রথম বড় অভিযান চালানো হয়, যা ১০ দিন স্থায়ী ছিল। এরপর ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ দ্বিতীয় দফায় আক্রমণ চালানো হয়, যা ১ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই সময় ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলে এবং হত্যাকাণ্ড চালায়, যার ফলে হাসপাতালটি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বারশ চলতি বছরের জানুয়ারিতে বলেছিলেন, ইসরায়েলের গণহত্যামূলক এই যুদ্ধের সময় হাসপাতালের ৯৫ শতাংশেরও বেশি ভবন এবং সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে গেছে।

এদিকে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছে, যার ফলে ইসরায়েলের নৃশংস আক্রমণ বন্ধ হয়েছে। তবে দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে ৪৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার অবস্থা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীয় নাম ঘোষণা

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে চাকরির সুযোগ

গুলশানে ডাক পেলেন বরিশাল বিএনপির যে ৩ নেতা

গাজীপুরে দিনে ভাঙছে ৩০ সংসার

কে জিতবেন নোবেল শান্তি পুরস্কার

ইরানের সঙ্গে যোগসাজশ / ইরাকের অলিম্পিক কমিটির প্রধানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

ছাদে টিকটক করার সময় বিদ্যুতায়িত মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু

ভিন্নরূপে শাকিব খান

তামা না পিতল, প্রতিদিনের ব্যবহারে কোন বাসনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

১০

‘ট্রাম্প নোবেল না পেলে যে কোনো কিছু করতে পারেন’

১১

শিশু শান্তি ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত সাতক্ষীরার সুদীপ্ত

১২

এই ৪ ভুল করছেন? তাহলে নিজেই ত্বকের ক্ষতি ডেকে আনছেন

১৩

শিশুকে হত্যার পর ৭০ ফুট গাছের ওপর ওঠেও রক্ষা পেল না যুবক

১৪

মাত্র ১৫০ টাকা খরচ করে ঘরে বসেই সুগন্ধি পারফিউম তৈরি করবেন যেভাবে

১৫

ধর্ম অবমাননায় সমান শাস্তির বিধান চায় জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট

১৬

শান্তিতে নোবেল ঘোষণার আগে ওবামাকে নিয়ে ট্রাম্পের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য

১৭

অতিরিক্ত মাথাব্যথা কি ব্রেন টিউমারের লক্ষণ?

১৮

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ

১৯

সড়কে উঠতে বাধা, ট্রাফিক পুলিশের মাথা ফাটালেন অটোরিকশা চালক

২০
X