ইতিহাসের ভয়াবহতম বিপদে পড়েছে ইসরায়েল। দেশটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে দাবানল। এতে পুড়ে গেছে হাজার হাজার একর জমি। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলেরর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরুজালেমের পার্বত্য অঞ্চলে দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা’আর এক বিস্তৃত কূটনৈতিক অভিযান শুরু করেছেন। বুধবার তিনি আন্তর্জাতিক অগ্নিনির্বাপণ সহায়তা চেয়ে এক ডজনেরও বেশি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এটিকে কর্মকর্তারা ইসরায়েলের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ দাবানল বলে অভিহিত করেছেন।
সা’আরের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইডেন, আর্জেন্টিনা, স্পেন, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিন শেষে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রিস, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি এবং বুলগেরিয়ার কাছেও সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া থেকে তিনটি ‘সুপারস্কুপার’ বিমান ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছে।
রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা বৃহস্পতিবার একটি অগ্নিনির্বাপণ বিমান এবং একটি সহায়ক লজিস্টিকস বিমান পাঠাবে। স্পেন এবং ফ্রান্সও যথাক্রমে দুটি ও একটি করে অগ্নিনির্বাপণ বিমান পাঠাবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া ইউক্রেন ও ইকুয়েডরসহ আরও কিছু দেশ সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কয়েকটি দেশ হেলিকপ্টার পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতের অন্ধকারে বিমান চলাচল নিরাপদ না হওয়ায় আন্তর্জাতিক সহায়তা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকরভাবে শুরু হবে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের এলাদ বিমান স্কোয়াড্রন এবং পুলিশ হেলিকপ্টার দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জাতীয় কমান্ড সেন্টারে উপস্থিত হয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন।
মন্তব্য করুন