যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘাতে টেনে আনতে চায় ইসরায়েল। যাতে ত্রি-দেশীয় যুদ্ধের চাপ মধ্যপ্রাচ্য সইতে না পারে। স্বভাবতই বিশ্ব পরাশক্তির আঘাত সামলানো ইরানের পক্ষে সহজ হবে না। সেই সুযোগটিই নেবেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করে ইরানে শাসন পরিবর্তনের লক্ষ্য তার। আলজাজিরায় প্রকাশিত এক বিশ্লষণে এমন ধারণা উঠে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির অধ্যাপক শাহরাম আকবারজাদেহ বলেন, ইসরায়েল এবং ইরান উভয়ই দীর্ঘ সময় ধরে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। ফলে পাল্টাপাল্টি আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
আকবারজাদেহ আল জাজিরাকে বলেন, এই মুহূর্তে ইরান কেবল ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইটের বদলে পাটকেল (প্রতিশোধমূলক) প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তবে এটা খুবই স্পষ্ট যে- ইরান তার সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী, সামরিক স্থাপনা এবং পারমাণবিক সুবিধাগুলোকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা সহ্য করবে না।
তিনি বলেন, এটি পুরো অঞ্চলের জন্য খুবই বিপজ্জনক মোড়। কারণ, অনেক পর্যবেক্ষক উল্লেখ করেছেন- এ পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে ফেলার প্রতিটি সম্ভাবনা সক্রিয়।
ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। সামরিক শক্তির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা তেহরানের নেই। তিনি বলেন, অথচ ইসরায়েল এমন একটি পরিস্থিতিরই আশা করছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, যখন ইসরায়েল ইরানের ওপর হামলা চালায় তখন ইরানকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হলো। আমি মনে করি, ইসরায়েল এই গতিশীলতার ওপর ভরসা করছে। একবার সংঘর্ষ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা এবং প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে এবং এটিই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অর্জন করতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘর্ষে টেনে এনে ইরানে শাসন পরিবর্তন ঘটানো ইসরায়েলের অন্যতম লক্ষ্য মনে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন