ইসরায়েলের ‘বিজ্ঞানের মুকুটের রত্ন’ খ্যাত ইনস্টিটিউটে হামলা করেছে ইরান। তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপ করে আসছে। তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতি রোধ করার জন্য এর পেছনের ‘মস্তিষ্ক’ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। এবারই প্রথমবারের মতো ইরান ইসরায়েলের বিজ্ঞান গবেষণায় আঘাত হানল।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রকাশ্য সরাসরি সংঘাতের কারণে ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরাও টার্গেটের অংশ হচ্ছেন। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র জীবন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিদ্যাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের জন্য পরিচিত একটি শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আঘাত করার পর তা স্পষ্ট।
রোববার (১৫ জুন) ভোরে ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে হামলায় কেউ নিহত না হলেও মিসাইলটি ক্যাম্পাসের একাধিক ল্যাব উড়িয়ে দেয়। অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি ছাড়াও মিসাইল হামলা বছরের পর বছর ধরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা নষ্ট করে দিয়েছে। এ হামলা ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের কাছে একটি শীতল বার্তা পাঠিয়েছে, তারা এবং তাদের দক্ষতা এখন ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের লক্ষ্যবস্তু।
আণবিক কোষ জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ওরেন শুলডিনার বলেছেন, আমার ল্যাবটি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা ইসরায়েলে বিজ্ঞানের মুকুটের রত্নকে ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্মে বোমা হামলা চালিয়ে কমান্ডারকে হত্যা করেছে। শুক্রবার (২০ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ দাবি করেছে।
দুপুরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ইসরায়েলে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র প্ল্যাটফর্ম আক্রমণ করেছে। সেনাবাহিনী বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে জানিয়েছে, যে সামরিক কমান্ডার উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনিই নিহত হয়েছেন। এ হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট।
সূত্র : অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)
মন্তব্য করুন