সিরিয়ায় আগামী ১৫-২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বাশার আল-আসাদের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এটিই দেশটিতে প্রথম জাতীয় নির্বাচন। আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানেও হবে এ ভোট।
রোববার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনপ্রতিনিধি পরিষদের সর্বোচ্চ নির্বাচন কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আল-আহমাদ জানান, নতুন ব্যবস্থায় পার্লামেন্টে আসন বাড়িয়ে ১৫০ থেকে ২১০ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসনে প্রার্থী নিয়োগ দেবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
তিনি জানান, ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রদেশে আসন বণ্টন করা হবে, যাতে জনসংখ্যা অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।
সিরিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আলোচনায় বলেন, দেশের সব প্রদেশেই নির্বাচন হবে এবং কোনো ধরনের বিভাজনের চিন্তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি আরও বলেন, যেসব ব্যক্তি অপরাধে যুক্ত ছিল কিংবা সাম্প্রদায়িকতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে উসকে দিয়েছে—তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হবে।
নির্বাচনী ডিক্রি জারির এক সপ্তাহের মধ্যে গঠিত হবে স্থানীয় উপকমিটি। এরপর ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানসমূহ নির্ধারণ করা হবে। প্রার্থী নিবন্ধনের পর তারা এক সপ্তাহ সময় পাবেন প্রচার ও বিতর্কের জন্য।
মোহাম্মদ আল-আহমাদ জানান, অন্তত ২০ শতাংশ নির্বাচনী প্রতিনিধি নারী হবেন। এ ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে ভোট গ্রহণ হবে। ভোটের ফল ও প্রার্থী তালিকা নিয়ে কেউ চাইলে আপত্তি জানাতে পারবেন বলেও জানান তিনি। সূত্র : শাফাক নিউজ
মন্তব্য করুন