ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আট এজেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ইরান। তাদের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল স্থানের মানচিত্র এবং জ্যেষ্ঠ সামরিক ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে তথ্য ইসরায়েলে প্রেরণের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছে। গার্ডের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, সন্দেহভাজনরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মোসাদ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগ মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব ইরানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে লঞ্চার, বোমা, বিস্ফোরক এবং বুবি ট্র্যাপ তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।
জুন মাসে ইরানে হামলা করে ইসরায়েল। ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ, শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের হত্যা এবং গুরুত্ব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। ইরানি নাগরিকদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই এমন সফল হামলা সম্ভব হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিযানে গুপ্তচরবৃত্তির সত্যতা মিলে। গ্রেপ্তার করা হয় শত শত মোসাদ এজেন্টকে।
এই মাসের শুরুতে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের সাথে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানি পুলিশ ২১,০০০ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও তারা এই ব্যক্তিদের কী করার জন্য সন্দেহ করা হয়েছিল তা জানায়নি।
মার্কিন-মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হওয়া সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের সময় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছে এবং রাস্তায় তাদের উপস্থিতিও জোরদার করেছে।
ইরান সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কমপক্ষে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। যার মধ্যে পারমাণবিক বিজ্ঞানী রুজবেহ ভাদিও রয়েছেন।ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরেক বিজ্ঞানী সম্পর্কে ইসরায়েলকে তথ্য দেওয়ার জন্য তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, ইরান বৃহত্তর রাজনৈতিক দমনের হাতিয়ার হিসেবে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এবং দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে। এ ধরনের কাজ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
মন্তব্য করুন