ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বাহিনীর হামলার পর একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করছে বিভিন্ন সংস্থা। এতে করে বিমানবন্দরে ভিড় বাড়ছে। অন্যদিকে হামলার মধ্যে দেশজুড়ে পাসপোর্টের আবেদনও বেড়েছে। খবর গলফি নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর থেকে আমেরিকান এয়ার লাইন্স, এয়ার ফ্রান্স, লুফথানসা, এমিরাটস ও রানায়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ফ্লাইট বাতিল করছে। তেল আবিবের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর থেকে এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েলের বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা এআই এএল জানিয়েছে, তারা তেল আবিব থেকে বিমান পরিচালনা করছেন। তবে অন্য অনেক বিদেশি কোম্পানি তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। সংস্থাটি ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামলায় দেশটির ১৪৯ পর্যটককে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফ্লাইট বাতিলের কারণে এখনও ৮১ জন পর্যটক দেশটিতে আটকা পড়ে আছেন।
স্পেনের বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা এনা জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি রোববার তেল আবিব থেকে তাদের ৯টি ফ্লাইট ও অন্য গন্তব্য থেকে আরও চারটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এ ছাড়া দেশটির অপর বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা এয়ার ইউরোপা তাদের দুটি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেল আবিবে ইউরোপিয়ান অ্যাম্বাসিগুলোতে ইসরায়েলি নাগরিকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা পর্যটনবিষয়ক অফিসগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, সম্প্রতি ইসরায়েলি পাসপোর্টের পাশাপাশি অন্যান্য পশ্চিমা দেশের পাসপোর্ট নেওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেছে।
পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন সার্ভিস জানিয়েছে, বছরের শুরুতে সম্প্রতি ২১ হাজার ইসরায়েলি দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইমিগ্রেশন কার্যালয়গুলো এখন হাজারো ইসরায়েলির নিত্যকার গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ফ্রেঞ্চ, পর্তুগিজ, জার্মান এবং পোলিশ অ্যাম্বাসিতে আবেদনের সংখ্যা ১০ শতাংশ বেড়েছে। যেটা এর আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
মন্তব্য করুন