অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকেই দেশটিকে সমর্থন দিয়ে আসছে আমেরিকা। তেল আবিবকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়েও সহায়তা করছে করছে তারা। অথচ খোদ যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছে। নেতানিয়াহু প্রশাসনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে হোয়াইট হাউসের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন এসব বিক্ষোভকারী। এবার ইসরায়েলে অস্ত্র বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে একটি জাহাজ আটকে দিয়েছেন তারা। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃষ্টির মধ্যেই শত শত বিক্ষোভকারী ওয়াশিংটনের টাকোমো বন্দরে বিক্ষোভ করেন। সে সময় তারা একটি মার্কিন সামরিক জাহাজ অবরুদ্ধ রাখেন। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, জাহাজটিতে করে ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা ব্যবহার করা হবে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর। তাই, বাধা দেওয়ার জন্য ছুটে এসেছেন তারা।
আল জাজিরা জানায়, জাহাজটিতে আসলেই সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ছিল কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পেন্টাগনের মুখপাত্র জেফ জার্গেনসেন বলেছেন, জাহাজটি প্রকৃতপক্ষে মার্কিন সামরিক কার্গো সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
এদিকে, গাজায় পাখির মতো মানুষ মরলেও যুদ্ধ থামাতে রাজি নয় ইসরায়েল ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতি হলে আবারও সংগঠিত হবে হামাস। এমন পরিস্থিতে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এসব ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো যায়।
মার্কিন নৌবাহিনী কোনো রাখঢাক ছাড়াই অঞ্চলটিতে সাবমেরিন পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান ও তার প্রভাব বলয়ে থাকা কোনো দেশ যেনো ইরসায়েলে হামলা চালানোর সাহস না দেখায়, তার কৌশল হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত করা যায়, এমন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন।
তবে, সরাসরি যুদ্ধবিরতি নয়, কয়েক-ঘণ্টার জন্য হামলায় বন্ধ করার কথা বিবেচনা করছে ইসরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, হামলায় কৌশলগত বিরতি কার্যকর করা হতে পারে দুটি কারণে। প্রথমত, গাজা উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, হামাসের হাতে আটক ব্যক্তিদের গাজা থেকে বের করে আনা।
মন্তব্য করুন