অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল স্থল অভিযান শুরু করেছে। দেশটি গাজার বিভিন্ন হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে। এতে প্রকট হচ্ছে গাজার মানবিক সংকট। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজার সব হাসপাতাল বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরার।
আলজাজিরার এক সাক্ষাৎকারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা আশরাফুল আল-কুদরা বলেন, গাজার হাসপাতালগুলো ইসরায়েলের সেনারা ঘিরে রাখা ও জ্বালানি সংকটের কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতাল পরিসেবার বাইরে চলে গেছে। এছাড়া গাজার অন্যতম বৃহৎ আস-শিফা ও আল-কুদস হাসপাতালে অপারেশন বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি সংকট ও সরঞ্জামের অভাবে এসব সেবাও বন্ধ রয়েছে।
ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রমবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) গাজার এ পরিস্থিতিকে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছে। তারা এ অঞ্চলে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মানবিক ত্রাণসহায়তার আহ্বান জানান।
এদিকে হাসপাতাল ছাড়াও গাজার আশ্রয়শিবিরে চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরণার্থী শিবিরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ১২টি ভবনকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। শরণার্থী শিবিরের জাবালিয়া সার্ভিস ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকায় এ হামলা করা হয়।
গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এসব শিবিরের বেশিরভাগই এই ভূখণ্ডের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
নিজেদের এ হামলার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। তারা জানিয়েছে, বেসামরিক লোক নয়, হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। তবে এসব হামলার বেশিরভাগই বেসামরিক লোকজন।
মন্তব্য করুন