ইসরায়েলের সেনাদের অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এখন ‘মৃত্যুপুরীতে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ জন্য হাসপাতালে এখনো যারা অবস্থান করছেন তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। রোববার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গতকাল শনিবারই আল-শিফা হাসপাতাল থেকে অধিকাংশ মানুষ অন্যত্র চলে যান। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষক দল হাসপাতালটি পরদর্শেন যায়। পরিদর্শন শেষে হাসপাতালটি নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তারা।
রোববার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, পর্যবেক্ষক দল হাসপাতালের প্রবেশপথে একটি গণকবর দেখতে পেয়েছে। সেখানে ৮০ জনের বেশি মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে তারা গোলাগুলি ও বন্দুকযুদ্ধের দৃশ্যমান লক্ষণও দেখেছেন।
নিরাপত্তা ও সময় সীমিত হওয়ায় মাত্র এক ঘণ্টা সময় হাসপাতালে অবস্থান করে পর্যবেক্ষক দল। এরপর তারা বলেছেন, হাসপাতালটি এখন মৃত্যুপুরী এবং এর ভেতরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। এ কারণে হাসপাতালটি আর কার্যক্রম সচল রাখতে পারেনি।
বিশ্ব স্বাস্থা জানায়, পর্যবেক্ষক দল রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তারা সবাই নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আতঙ্কিত। একই সঙ্গে এখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আল-শিফা হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি করার মতো অবস্থা আর নেই। আহত ও অসুস্থদের এখন গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
আল-শিফা হাসপাতালে হামাস যোদ্ধাদের গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে, এমন দাবি করে বেশ কয়েক দিন ধরে হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলের সেনারা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এ দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন