গাজায় যুদ্ধ থামাবে না ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গতরাতে স্থল অভিযান ও গাজায় তাদের হামলা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।
সেনাবাহিনীর এমন বক্তব্যের ফলে গাজায় স্থল অভিযানের মাত্রা আরও বাড়বে কিনা- তা এখনো স্পষ্ট হওয়া যায়নি। এমন বক্তব্যের মাধ্যমে তারা স্থল অভিযানকে গাজার দক্ষিণে আরও অগ্রসর করতে পারে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে খান ইউনুসে লিফলেট বিতরণ করে ইসরায়েল। তারা সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যেতে সতর্কবার্তা দেয়। ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তাদের এ হামলায় ফিলিস্তিনের অন্তত ১২ হাজার লোক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৮ অক্টোবর থেকে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে তারা। এ সময়ে সেখানকার হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়েছে সেনারা।
এদিকে ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে কিনা বিষয়টি পরিষ্কার করতে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থাকে চাপ দিবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ১৯৬৮ সালের ‘পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ’ চুক্তিতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ অংশ নিলেও স্বাক্ষর করেনি ইসরায়েল। ইসরায়েল গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে কিনা সেটা জানতে হবে। এই অঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য দেশের কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখতে এটা জানা প্রয়োজন। অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।
ইসরায়েলের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ ও রাষ্ট্রনেতারা। অনেকেই মনে করেন, ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আছে।
চলতি মাসে ইসরায়েলের ঐতিহ্যমন্ত্রী আমিহাই এলিয়াহু গাজায় পরমাণু বোমা হামলার হুমকি দিলে দেশটির পারমাণু কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনিয়ে আসে। আমিহাইয়ের এমন মন্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেন। তবে ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিনা এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন