আবারও নিজেদের সামরিক সক্ষমতা দেখাল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকর্মীদের সংগঠন হামাস। দলটি এবার ব্যাপক আকারে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়ার মনিটর জানিয়েছে, গাজার যোদ্ধারা নিজেদের কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার জানান দিয়েছে। বৃহস্পতিবার তারা তেলআবিবে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। হামাসকে নির্মূলের নামে ইসরায়েলের অভিযানের মধ্যে এমন হামলা চালিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে নিজেদের কাছে এখনো ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা থাকার বিষয়টি সামনে এনেছে হামাস।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ইনিস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিক্যাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে থেকে একটি লোড করা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। এ ছাড়া তারা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিতও করেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের হামলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।
আইএসডব্লিউ ও সিটিপি তাদের সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলে বৃহস্পতিবার আরও ছয়টি হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তারা দক্ষিণাঞ্চলে সুফা এলাকায় মর্টার শেলও নিক্ষেপ করেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি নয়, যুদ্ধের শেষ চান। এ ছাড়া কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের জাতীয় সিদ্ধান্ত হলো গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি অথবা বন্দিদের নিয়ে কোনো আলোচনা নয়।
হামাসের এমন অনড় অবস্থানে কঠিন বিপাকে পড়েছে ইসরায়েল সরকার। গাজায় জিম্মিদের উদ্ধারে মিলিটারি অপারেশন চালিয়েছে ইসরায়েল, তবে এতে হিতে বিপরীত হয়েছে তাদের জন্য। সবশেষ হামাসের যোদ্ধা মনে করে তিন জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর তেলআবিবে ওই নিহতদের স্বজনরাও বিক্ষোভ করেছে। এতে নতুন করে চাপে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
মন্তব্য করুন