অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পায়নি মসজিদ, হাসপাতাল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। অব্যাহত হামলায় গাজায় প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ অথবা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে প্রশাসন। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার সরকার ব্যবস্থার পরিচালক আলজাজিরাকে জানান, গাজায় ২৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত অথবা নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে এসব লোকের এমন পরিণতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজায় একের পর এক ভবন ধসে পড়েছে। এতে করে পাথরের নিচে অন্তত সাত হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়ে আছেন।
প্রশাসন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের সেনারা হাসপাতালেও তাণ্ডব চালিয়েছে। গাজা ও এর উত্তরাঞ্চলে আট লাখ লোকের জন্য কোনো ধরনের হাসপাতাল সুবিধা অবশিষ্ট নেই।
এর আগে ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করছে না। ফলে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গাজার ইউএনআরডব্লিউএবিষয়ক পরিচালক বলেছেন, গাজাবাসী চরম ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছেন। প্রতিটা দিন তাদের বেঁচে থাকতে, খাবার ও পানির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বাস্তবতা হলো আমাদের আরও ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমাদের সর্বশেষ আশা হলো মানবিক যুদ্ধবিরতি।
৭ অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় পূর্ণ অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ কারণে গাজার ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ পাচ্ছেন না। অবশ্য মিসর হয়ে রাফাহ সীমান্ত পথ দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করলে বিপর্যয়কর মানবিক সংকটের কিছুটা লাঘব হয়। তবে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
গত সপ্তাহে গাজায় ত্রাণ সহায়তা বাড়াতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। তবে এই প্রস্তাবকে ‘অপর্যাপ্ত ও প্রায় অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন দাতব্য ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মন্তব্য করুন