কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারী বৃষ্টিতে গাজাবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়ল

বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত একটি সড়ক হেঁটে পার হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি : সংগৃহীত
বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত একটি সড়ক হেঁটে পার হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের টানা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলা থেকে গাজার মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল—কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি। হামলা থেকে বাঁচতে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ মানুষ আজ ঘরবাড়ি ছাড়া। তাদের মধ্যে অনেকে সড়কে বা পার্কে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারী বৃষ্টি তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত শরণার্থী শিবিরগুলো বন্যা ও নর্দমায় পরিপূর্ণ। এরই মধ্যে আবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবির থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা আনাস আল-শরিফ বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ ও অবরোধের মাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে নাগরিকদের সামনে নতুন আরেক সমস্যা এসে হাজির হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে নগর কর্তৃপক্ষ আর কাজ করতে পারছে না। কারণে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের যানবাহন ধ্বংস করে দিয়েছে।

এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, আমরা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এখানে নতুন আরেক যুদ্ধের মুখে পড়েছি। পয়ঃনিষ্কাশনের পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে সেগুলো প্লাবিত করছে। আমাদের শিশুরা রোগ ভুগছে। আর আমরা অসুস্থতায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বেঁচে আছি।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৭ হাজার ৯১০ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বর্তমানে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। সেখানে অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজও শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অবস্থান, কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

চাকসু নির্বাচন : ভোট দিতে এসে যা বললেন হাবিব

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

চাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে : চবি উপাচার্য

নতুন বউ ঘরে রেখে বাংলাদেশকে একাই হারিয়ে দিলেন সামি

স্ত্রীকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখা সেই স্বামী গ্রেপ্তার

রাজনীতিতে মন নেই কঙ্গনার, ফিরতে চান অভিনয়ে

তিন মাসে মোবাইল উদ্ধার ১০৮, টাকা ফেরত সাড়ে ৩ লাখ

এইচএসসির ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার, জানা যাবে যেভাবে

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

১০

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের হানা, ৭ দালালের দণ্ড

১১

রাফা ক্রসিং খোলা হবে কি না, সিদ্ধান্ত জানাল ইসরায়েল

১২

সন্তান ধারণে সমস্যার সমাধান খাবারেই

১৩

বিপিএল নিলামের তারিখ চূড়ান্ত, দলগুলোর জন্য আছে সুখবর

১৪

চাকসু নির্বাচন : নারী ভোটারদের উপস্থিতি নজরকাড়া

১৫

অভিযোগ আসছে ভোটারদের আঙুলের কালি মুছে যাচ্ছে : ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

১৬

‘কীভাবে পরের সিরিজে ভালো করা যায় এটা নিয়ে ভাবছি’

১৭

ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই : সাইদ বিন হাবিব

১৮

৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হলো চাকসুর ভোট

১৯

‘নির্বাচনে কারচুপি করলে কে গ্রহণ করবে’

২০
X