পিতাসহ নিজ পরিবারের ১২ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক যুবক। পারিবারিক অশান্তির জেরে এমনটি ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের গুলিতে অভিযুক্ত ওই যুবকও নিহত হয়েছেন।। তবে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইরানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরমানের ফারিয়াব গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম হামিদি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, হামলাকারীর পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌঁছালে ওই যুবক এ নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাড়ির বাইরে থেকে হঠাৎ করে ঢুকে পরিবারের লোকদের ওপর হামলা চালান তিনি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার গুলিতে বাবা-ভাইসহ পরিবারের ১২ সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হন।
পুলিশের দাবি, খবর পেয়ে দ্রুতই তারা ঘটনাস্থলে যান। তারা পৌঁছানোর পরও অস্ত্র হাতে ছিলেন ওই যুবক। পুলিশ তাকে নিরস্ত্র হতে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি পাল্টা পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া পাল্টা গুলিতে তিনি নিহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক নিজেই অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইরানে এ ধরনের বন্দুক হামলা বিরল ঘটনা। এর আগে ২০২২ সালে এক ব্যক্তি চাকরি হারিয়ে অফিসের মধ্যে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা ও পরে নিজে আত্মহত্যা করেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালে এক যুবকের বিরুদ্ধে ১০ জনকে গুলি করে করে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
মন্তব্য করুন