দীর্ঘ এক যুগের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সিরিয়া। একসময় যে রাষ্ট্রটি ছিল উন্নত আর সম্পদশালী সেই দেশটিতে আজ কিছুই যেন অবশিষ্ট নেই। তেলসমৃদ্ধ আরবের মরুবেষ্টিত এই দেশটিতে ফসলের উৎপাদনও হতো বেশ। তবে দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে সেই ফসল উৎপাদন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে। সম্প্রতি দেশটিতে আবারও ফসলের উৎপাদন বাড়ছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘সানা’ জানায়, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুসেইন আরনাস শুক্রবার বলেছেন, এই বছর দেশটির গমের ফলন ১০ লাখ টনে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছর আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টন গম উৎপাদিত হবে দেশটিতে। ভালো ফসলের আশা থাকলেও এখনো তা যুদ্ধ-পূর্ব গড় শস্য সংগ্রহের পরিমাণের থেকে অনেক নিচে। ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর আগে সিরিয়ায় প্রতিবছর গড় শস্যের উৎপাদন ছিল ৪১ লাখ টন। দেশটি সে সময় গমে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। তবে গৃহযুদ্ধের কারণে এখন দেশীয় চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে গম আমদানি করতে হয় দেশটির। এক যুগ আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকই হয় শরণার্থী, নয়তো বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের রক্ষণশীল হিসাব অনুযায়ী ৩ লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। বন্দি বা নিখোঁজ হয়েছে ১ লাখের বেশি সিরিয়ান।
মন্তব্য করুন