কয়েকজন মিলে ধরে রেখেছেন এক নারীকে। মুখ খুলে তাকে কিছু একটা খাইয়ে দিচ্ছেন আরেকজন। সে জিনিস মুখে ঢুকতেই বদলে যাচ্ছে অভিব্যক্তি। চাইছেন জোর করে সেই খাবার ফেলে দিতে। কিন্তু অন্যরা তার পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন।
এভাবেই না চাইলেও জোর করেই খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার। অখাদ্য মনে হলেও সে খাবার খেতেই দলে দলে জড়োও হচ্ছেন মানুষজন!
ভিমরুলের ঝাঁকের মতো ছুটছেন এক দল মানুষ। যেন কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। কে কার আগে যাবেন, তা নিয়ে চলছে লড়াই। দৌড় শেষে মানুষজনের সেই ভিড় গিয়ে জড়ো হচ্ছে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর কাছে। এ সময় নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষকে লাইন ধরে কিছু একটা সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
দলা জাতীয় সেই জিনিস সংগ্রহ করে এগিয়ে যান লাইনে থাকা ব্যক্তিরা। তারপর তারা জড়ো হন এক ব্যক্তির কাছে। ওই ব্যক্তিকে দেখা যায়, ছোট পলিথিনে করে মাছের পোনা তুলে দিতে। আর সেই পোনাই খাদ্য হয়ে ঢুকে যাচ্ছে এই ভিড় ঠেলে আসা মানুষদের পেটে।
এভাবে জীবন্ত মাছ খেতে রোববার দক্ষিণ ভারতের হায়দরাবাদে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। শতবর্ষী এই রীতি অনুযায়ী, অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা ছোট মাছ জীবন্ত গিলে ফেলেন। অনেকের বিশ্বাস, এভাবে জীবন্ত মাছ গিলে গেলে অ্যাজমা থেকে মুক্তি মিলবে। আর এজন্যই হাজার হাজার মানুষ তেলেঙ্গানার নামপল্লি এক্সিবিশন গ্রাউন্ডে জড়ো হয়েছে।
মাছের মুখে হলুদের পেস্ট লাগিয়ে এখানে আসা ব্যক্তিদের মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই মিক্সচারকে বলা হচ্ছে মাছের প্রসাদ। অ্যাজমার সমস্যা থাকা এক ব্যক্তি রাজেশ বলছিলেন, এই চিকিৎসা নিলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সেরে যাবে। দ্বিতীয়বারের মতো এখানে আসার কথাও জানান তিনি।
হলুদ বাটার সঙ্গে আরও বেশ কিছু উপাদান মেশানো থাকে। সেই পেস্টটাই শোলের পোনার মুখে লাগিয়ে রোগীর মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর পানি ছাড়াই সেই জ্যান্ত মাছ গিলে খেতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিকে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা কিছুটা দূর হয় বলে বিশ্বাস অনেকের। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এটি প্রমাণিত নয়।
মন্তব্য করুন