

এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে ছুড়ে ফেলা হয় খালে। আর সে অভিযোগে আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করা হয় ওই কিশেরারীর বাবাকে। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। তখন সবাই ধরে নিয়েছিলে, পানিতে ডুবে হতভাগ্য কিশোরীর হয়তো সলিল সমাধি হয়েছে।
কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুই মাস পরে হঠাৎ করেই ফিরলেন সেই ১৭ বছর বয়সী কিশোরী। শুধু বেঁচেই ফেরেননি, তিনি সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে দাবি করেন—-অভিযুক্ত বাবা নির্দোষ, বরং আসল দোষী তার মা।
বাবাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। জানা যায়, ৩ অক্টোবর মেয়ের চরিত্র নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় সুরজিৎ সিংহ নামের এক ব্যক্তি রাজস্থানের একটি খালে তার মেয়েকে হাত বেঁধে ফেলে দেন।
এমন অভিযোগের পর, পুরো ঘটনার ভিডিও তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। কিশোরীর দেহ বা কোনো খোঁজ না মেলায় পুলিশ সুরজিৎকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন আলোচিত সেই কিশোরী।
যেখানে তিনি দাবি করেন, তার মা-ই বাবাকে প্ররোচনা দিয়েছিলেন এমন কাজ করতে। এর জেরেই বাবা তাকে খালে ফেলে দেন। খাল থেকে কীভাবে সে ফিরে এলো বা গত দুই মাস কোথায় ছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও কিশোরীর দাবি ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফিরোজপুর এলাকার।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পুরোনো ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করবে এবং কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
মন্তব্য করুন