উষ্ণতম মাসের রেকর্ড গড়তে পারে চলতি বছরের জুলাই মাস। গত কয়েক দিনে তাপমাত্রার একাধিক রেকর্ড ভেঙেছে ইউরোপের দেশগুলো। প্রবল গরমে পুড়ছে আমেরিকা ও চীন। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ১০০ বছরের মধ্যে উষ্ণতম মাস হতে চলেছে চলতি জুলাই। তবে শেষ পর্যন্ত তা শতাব্দীর পরিবর্তে হাজার বছরেরও রেকর্ড গড়তে পারে ২০২৩ সালের জুলাই মাস।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) নাসার জলবায়ু বিশেষজ্ঞ গেভিন শ্মিডট বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমেরিকা, ইউরোপ, চীনসহ একাধিক দেশে তাপপ্রবাহ চলছে। যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে প্রবল গরমে ভুগছে দেশগুলো। তবে গরম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে শুধু এল নিনোকে দায়ী করলে চলবে না। আচমকাই এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে।’
তিনি বলেন, ইতিহাসের সমস্ত নজির ভেঙে উষ্ণতম বছর হতে পারে ২০২৩ সাল। তবে ২০২৪ সালে আরও গরম বাড়বে। কারণ এল নিনোর ঝঞ্ঝা তৈরি হতে পারে চলতি বছরের শেষের দিকে। তার ফল টের পাওয়া যাবে আগামী বছরে।”
গেভিন শ্মিডট বলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহের পেছনে যদিও এল নিনো ছোট ভূমিকা পালন করছে, তারপরও ‘আমরা যা দেখছি তা হলো- প্রায় সর্বত্রই সামগ্রিকভাবে উষ্ণতা বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসাগরগুলোতে। আমরা অনেক মাস ধরে সমুদ্র পৃষ্ঠের রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রা দেখছি। এমনকি সেটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বাইরেও’।
এএফপি বলছে, বিশ্বে এখন যা হচ্ছে তাতে ২০২৩ সাল যে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর হবে তেমন সম্ভাবনা দিনে দিনে বাড়ছে। গেভিন শ্মিডট অবশ্য তার হিসাবের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে তেমন কোনো সম্ভাবনাকে ‘ফিফটি-ফিফটি’ বলছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানিয়েছে, চরম তাপমাত্রা দেশে দেশে স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
মন্তব্য করুন