কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশাল অজগর সাপ হয়েছিল হজরত মুসার (আ.) লাঠি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হজরত মুসাকে (আ.) কতটা পছন্দ করতেন আল্লাহ; তার প্রমাণ পাওয়া যায় কোরআন-হাদিসের বর্ণনায়। উল্লেখ আছে, একবার মুসা (আ.) ফেরাউনের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। ফেরাউনের জাদুকররা বিশাল বড় বড় বাঘ বানালেন, সাপ বানালেন। এসব দেখে মুসা (আ.) ভড়কে গেলেন, ভয় পেয়ে গেলেন। আল্লাহ বললেন, মুসা ভয় নেই তোমার লাঠিটা ফেলে দাও। মুসা (আ.) সেই লাঠিটি ফেলার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল বড় একটি অজগর সাপ হাজির হয়। সেই সাপ ফেরাউনের জাদুকরদের বানানো সব বাঘ, ভালুক, সিংহ, সাপকে খেয়ে বিশাল ফণা ধরে। এরপর সাপ বলতে থাকে, আর কী আছে নিয়ে আয়। এই দৃশ্য দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফেরাউনের রাজপ্রাসাদের সামনে যত বড় বড় জাদুকর ছিলেন তারা সবাই মুসা (আ.) এর সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সেজদায় লুটিয়ে পড়েন। সেজদায় লুটিয়ে পড়ে ঘোষণা দেন, তারা ফেরাউনকে মানেন না, কোনো নাস্তিককে মানেন না। তারা মুসার রব, হারুনের রব, বনি ইসরায়েলের রব আল্লাহর জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়েছেন। এ সেজদার কারণে তাদের হেদায়েত দান করেন মহান আল্লাহতায়ালা। ইসলামিক বক্তারা এই ঘটনার বর্ণনা করে বলেন, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ কাউকে হেদায়েত দান করতে পারেন না। বলেন, অনেকের বাবা ছিলেন নবী কিন্তু ছেলের কপালে হেদায়েত নেই। আবার অনেক ছেলে ছিলেন নবী কিন্তু বাবার কপালে হেদায়েত নেই। হেদায়েত দেওয়ার মালিক একজন। তিনি হলেন আল্লাহ। আবার কেবল একটি সেজদার আদেশকে অমান্য করার কারণে ইবলিস জাহান্নামিদের সর্দার হয়। আল্লাহ বললেন, ফেরেশতাকুল তোমরা আমার আদেশ মোতাবেক আদমকে সেজদা করো। সেই আদেশ শুনে সবাই সেজদা করল কিন্তু এক ইবলিস সেজদাহ করল না। সে অস্বীকার করল, অহংকার দেখাল। সঙ্গে সঙ্গে সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হলো। জাহান্নামিদের সর্দার বনে গেল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে নামাজ ও সেজদার বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর নৈকট্য পেতে তাকে আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘তামিম ছিলেন আদর্শ, এখন ট্রাভিস হেড অনুপ্রেরণা’

প্রয়োজনীয় তথ্য মনে রাখার সহজ ৫ উপায়

জুলাই পদযাত্রা : আজ মেহেরপুরে যাচ্ছেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে

যাচ্ছিলেন হাসপাতালে, পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলের

ওয়াশিংটন ডিসির সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তি লাভজনক হবে : প্রেস সচিব

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় পার্টি 

তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ, এনজিও মালিককে বেঁধে রাখলেন গ্রাহকরা

৭-১: এক পরাজয়, এক জাতির কান্না

নবীগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে সংঘর্ষ, অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত

১০

সহিংসতার ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ জানাল জিপিই

১১

পুকুরে ফেলে যমজ কন্যাশিশুকে হত্যার অভিযোগ, মা-বাবা আটক

১২

টেক্সাসে প্রবল বন্যায় শতাধিক মৃত

১৩

গণমাধ্যমকে প্রকাশ্য হুমকি, অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের নিন্দা

১৪

পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ, ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

১৫

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, এসআই প্রত্যাহার

১৬

বিয়ের পরে নারীদের ওজন বাড়ে কেন?

১৭

চাঁদা দাবির অডিও ফাঁস, বৈষম্যবিরোধী সেই ২ নেতাকে শোকজ 

১৮

গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলো : ফিরে দেখা ৮ জুলাই

১৯

ইরানের সমরাস্ত্র ভান্ডার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আইআরজিসির উপদেষ্টা

২০
X