কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিউজিল্যান্ড ছাড়ার হিড়িক অভিবাসীদের

নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত
নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ড থেকে অভিবাসীদের দেশ ত্যাগের হিড়িক দেখা দিয়েছে। গত এক বছরে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী দেশটি ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। বুধবার (১২ জুন) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের অস্থায়ী আন্তর্জাতিক অভিবাসনের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে দেশটি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী। এ সময়ে এক লাখ ৩০ হাজার ৬০০ অভিবাসী দেশ ছেড়েছেন।

এতে দেখা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদে দেশত্যাগকারীদের মধ্যে আনুমানিক ৮১ হাজার ২০০ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১২ সালে নাগরিকদের দেশ ছাড়ার রেকর্ড হয়েছিল। ওই বছরে ৭২ হাজার ৪০০ জন দেশ ছেড়েছিলেন।

অভিবাসন তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে ফিরে এসেছেন ২৪ হাজার ৮০০ নাগরিক। ফলে সামগ্রিক হিসাবে দেশটিতে ৫৬ হাজার ৫০০ জন আভিবাসী কমে গিয়েছে। যা ২০১২ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৪০০ জন। ফলে নতুন করে এ অভিবাসন ঘাটতি আগের রেকর্ড ভেঙেছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ওই বছরে নিউজিল্যান্ডে এক লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ বিদেশি অভিবাসী প্রবেশ করেন। ফলে সামগ্রিকভাবে অভিবাসী বেড়েছে ৯৮ হাজার ৫০০ জন। এ তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে ভারত। এরপরে রয়েছে ফিলিপাইন ও চীন

বুধবার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অভিবাসনসংক্রান্ত অস্থায়ী ডেটাও প্রকাশ করেছে স্ট্যাট নিউজিল্যান্ড। এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়া ও কর্মসংস্থানের অভাবে নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেশাদার বা স্নাতকরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। দেশটির অনেক তরুণ স্কুল বা উচ্চশিক্ষা শেষ করে বিদেশে পাড়ি জমানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।

স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা নির্দেশক ব্যবস্থাপক তেহসিন ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসন পরিবর্তনের পেছনে বেশকিছু কারণ থাকে। এরমধ্যে অন্যতম হলো নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনামূলক অর্থনৈতিক ও শ্রমবাজারের অবস্থা।

ইনফোমেট্রিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্র্যাড ওলসেন জানান, বিদেশে অভিবাসনের পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। বিদেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কম বয়সী কিউইরা দেশের বাইরে যায়। এক্ষেত্রে তাদের বিদেশ সফর বিলম্বিত হতে পারে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে।

তিনি বলেন, দেশ ত্যাগ করার মধ্যে অর্ধেকের বেশি অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানোর ফলে এটি বোঝা যায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এবং পরিবার অন্য কোথাও সুযোগ খুঁজছে। তারা আরও স্থায়ী পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে।

ওলসেন বলেন, নাগরিকদের দেশ ছাড়ার প্রবণতা স্বাভাবিক। তবে আবাসন খরচ মেটানোর সামর্থ্য এবং চাকরির ঘাটতি অব্যাহত থাকলে তাদের আবার দেশে ফেরানো কঠিন হয়ে পড়বে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফুটবল ও ক্রিকেট, দুই বিশ্বকাপেই খেলবে যেসব দেশ

চুল পড়া আর খুশকির সমস্যা বাড়াচ্ছেন নিজের ৬ অভ্যাসে

তাসফিনের হাত পুনঃসংযোজন এক বিরল সাফল্য : রিজভী

অভিযানে আটকের পর বহিষ্কৃত যুবদল নেতার মৃত্যু

নির্বাচনে জনগণই তাদের ভোট পাহারা দেবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান সরকার

১ যুগের নতুন দিগন্তে কুবিসাস

তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি : আমীর খসরু 

দুর্যোগ মোকাবিলায় স্কাউটদের ভূমিকা অনন্য : শিক্ষা উপদেষ্টা

আইজিপি বাহারুলকে বরখাস্তের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আইনজীবীর চিঠি

১০

নেইমারের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন আনচেলত্তি

১১

ভারতে আজহারির নামে ‘মাহফিলের’ প্রচারণা, যা জানা গেল

১২

পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৩

অতিরিক্ত খাওয়া থামানোর সহজ ১০ উপায়

১৪

ভারত বাদ, বাংলাদেশ-চীনকে নিয়ে জোটের প্রস্তাব পাকিস্তানের

১৫

ফুটবল বিশ্বকাপে ফিফার নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর বিতর্ক

১৬

পাকিস্তান আফগানিস্তান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, নিহত ৪

১৭

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে স্টোর অফিসার নিহত

১৮

পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, স্থবির জনজীবন

১৯

ফিফার শান্তি পুরস্কার পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০
X