পাকিস্তানে সদ্য বিলুপ্ত পার্লামেন্টে পাস হওয়া ‘রিভিও অব জাজমেন্ট অ্যান্ড অর্ডার’ আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাজনীতিতে ফেরার সব দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। পাকিস্তানের জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত জুনে দেশটির পার্লামেন্টে আইনটি পাস করানো হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল— যেসব রাজনীতিবিদকে সুপ্রিম কোর্ট আজীবনের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করেছেন—তারা চাইলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
মূলত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে রাজনীতিতে ফেরাতে তার ছোট ভাই শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আইনটি পাস করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আজ এটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নওয়াজ শরিফের রাজনীতিতে ফেরার পথ বন্ধ করে দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করে রায় দেন। এর আগের বছর তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর নওয়াজকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য আরব আমিরাতে গিয়ে সেখানে পালিয়ে যান তিনি।
এ ছাড়া ওই সময় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা জাহাঙ্গীর তারিনকেও আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
নতুন আইনটি পাস করানোর পর এটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইসহ কয়েকজন ব্যক্তি। এ আপিল নিয়ে ছয়টি শুনানি শেষে গত ১৭ জুন আদালত জানান, এ ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন এবং রায় দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন। আজ সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত রায় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানান, নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আগামী মাসে নেওয়াজ শরিফ দেশে ফিরবেন। এরপর তিনি আইনি বিষয় দেখাশুনা করবেন।
মন্তব্য করুন