কারাগারে আটক অবস্থায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান (পিটিআই) ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) তাকে অ্যাটক কারাগারে এফআইয়ের জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি) রাষ্ট্রীয় হুমকির একটি চিপ সরিয়ে ফেলার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির একটি চিপ সরিয়ে নিজের কাছে রাখার অভিযোগ রয়েছে। খবর জিও নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৭ মার্চ ইসলামাবাদের একটি জনসভায় সরকার উৎখাতের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন ইমরান খান। তিনি এটাকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করে একটি চিঠির কথাও প্রকাশ করেন।
এফআইএ সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন সংবেদনশীল তথ্য নিজের কাছে রাখার অভিযোগের তদন্ত করছে। বুধবার সকালে এফআইএর একটি উইং চিপ হারানোর সঙ্গে ইমরান খানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ দাখিল করেছে। ।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার অ্যাটক কারাগারে জেআইটি ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাকে কারাগারের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও এফআইএ জানিয়েছে।
এর আগে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল জেআইটি। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের ডিআইজি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন জেআইটি কর্মকর্তারা। এ সময় তার সঙ্গে পিটিআইয়ের আইনি দলের সদস্যরা ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
ওই দিন তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বুশরা। এদিন ইমরান ও বুশরার মধ্যে দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়েছিল। তাদের এই বৈঠকের পরই জেআইটি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বুশরা।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পিটিআইয়ের আইনি দলের সদস্য কুরতুল আইন জানিয়েছিলেন, বুশরাকে প্রায় ২০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেখানে তাকে ২০টি প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন