চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০২:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

চবিতে জাতীয় ছায়া আইনসভার সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত

ছবি: সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান অতিথি চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। ছবি : কালবলো 
ছবি: সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান অতিথি চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। ছবি : কালবলো 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিলস-এলইবি জাতীয় ছায়া আইনসভা ২০২৫-এর সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই পার্লামেন্টারি সিমুলেশন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে দ্য নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস (NILS) ও লিগ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট বাংলাদেশ (LEB)।

শনিবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের এ কে খান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। ৫৩টিরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, প্রধান আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান বলেন, এই অনুষ্ঠানে ব্যাপক অংশগ্রহণের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আইন শুধুমাত্র বিচারিক সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এবং এনএমএলএ-২০২৫ আইনি বোধশক্তিকে শাণিত করে, একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এমন আইন প্রণয়নের সুযোগ করে দেয় যা আমাদের জাতির জটিল সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে।

অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান বলেন, লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের আইনি প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করবে এবং তাদের আইন লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো চিহ্নিত ও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা প্রদান করবে।

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, এই আইন প্রণয়ন অনুকরণ কার্যক্রম একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ, যা আমাদের ভবিষ্যৎ আইন প্রণেতাদের মানসিকতা গঠনে সহায়ক হবে। এর প্রকৃত তাৎপর্য তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন আজকের তরুণরা ভবিষ্যতের সংসদে এই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

অনুষ্টানের আহ্বায়ক ও নিলস চিটাগং ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টারের সভাপতি রাব্বী তৌহিদ বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ গড়ে তোলায় আমরা গর্বিত এবং ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা চাই।

দুইদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা তিনটি হাউসে বিভক্ত হয়ে আইন প্রণয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রথমত, হাউস অব লেজিসলেটিভ রিফর্ম (দুর্নীতি দমন আইন, ২০০৪), দ্বিতীয়ত হাউস অব লেজিসলেটিভ রিফর্ম (মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২), তৃতীয়ত, হাউস অব সোশ্যাল জাস্টিস (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০)। সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনটি হাউসের সেরা প্রতিযোগীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে অনলাইন মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দৈনিক কালবেলা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘কেউ তো জানে’ আসছে এনটিভির পর্দায়

মসজিদুল হারামে এ সপ্তাহে জুমা পড়াবেন শায়খ সুদাইস

৬ বছরেও শেষ হয়নি কাজ, আশ্রয়কেন্দ্র এখন মাদকসেবীদের আখড়া

জার্সিতে নাম পাল্টালেন হলান্ড

ডিবি কার্যালয়ে লতিফ সিদ্দিকী

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই : আইএসপিআর

আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ইসির 

২০ মাসের ব্যবধানে পানিতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু, বাকরুদ্ধ পরিবার

হঠাৎ মিষ্টি খেতে মন চায়, এটা কীসের ইঙ্গিত?

ভারতের হয়ে খেলার আশা ছেড়ে দিয়েছেন শামি

১০

যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুশইন করা হচ্ছে, দাবি বিএসএফ ডিজির 

১১

সিজারের ৬ মাস পর পেট থেকে বের করা হলো গজ

১২

৫ দিন কোথায় কেমন বৃষ্টি থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৩

জাকসু নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল

১৪

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ১৫

১৫

১৭ কোটি টাকার জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এনে প্রশংসায় ভাসছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক 

১৬

গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ৪ সেপ্টেম্বর

১৭

আজ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা  / ইসির রোডম্যাপে যত পরিকল্পনা   

১৮

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

১৯

‘ভারতে পরমাণু হামলা চালাও, ট্রাম্পকে হত্যা করো’ লেখা বন্দুক দিয়ে হামলা

২০
X