কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘অল্প গাঁজায় কড়াকড়ি নয়’—মত লন্ডন মেয়রের

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। ছবি : সংগৃহীত
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। ছবি : সংগৃহীত

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, অল্প পরিমাণ প্রাকৃতিক গাঁজা রাখার অপরাধে দণ্ড কমানো উচিত—এ বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন। বুধবার (২৮ মে) প্রকাশিত একটি স্বাধীন গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি এই মত দেন। খবর বিবিসি।

সাদিক খানের ভাষায়, এই প্রতিবেদনটি প্রমাণভিত্তিক এবং একটি গ্রহণযোগ্য যুক্তি তুলে ধরেছে। মাদকসংক্রান্ত অপরাধ রোধে আমাদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

যুক্তরাজ্যের বর্তমান আইন অনুযায়ী, গাঁজা একটি ‘বি’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। এর ফলে গাঁজাসহ কাউকে ধরা পড়লে তাকে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখে পড়তে হয়। তবে ২০২২ সালে সাদিক খানের উদ্যোগে গঠিত লন্ডন ড্রাগস কমিশন (এলডিসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাঁজার প্রকৃত ক্ষতির তুলনায় এই আইন অনেক বেশি কঠোর।

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বিশ্বজুড়ে গাঁজা নিয়ন্ত্রণে আইন কীভাবে প্রয়োগ করা হয়, তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এসব নীতির কারণে নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীগুলোর ওপর অতিরিক্ত নজরদারি হয়, যা পুলিশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

প্রতিবেদনটি গাঁজার পূর্ণ বৈধতার পক্ষে নয়, তবে স্বল্প পরিমাণ প্রাকৃতিক গাঁজাকে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার আইন’ থেকে সরিয়ে ‘মনোসক্রিয় বস্তু আইন’-এর আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছে। এতে করে সীমিত পরিমাণ গাঁজা রাখা ব্যবহারকারীদের জন্য আইনগতভাবে বৈধ হবে, তবে উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধই থাকবে।

কমিশন আরও সুপারিশ করেছে, গাঁজার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং যারা আসক্ত, তাদের জন্য উন্নত চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সাদিক খান বলেন, মাদক-সম্পর্কিত অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে আমাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে নীতি তৈরি করতে হবে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে—অল্প গাঁজা রাখার জন্য বর্তমান আইনি ব্যবস্থা যুক্তিযুক্ত নয়।

কমিশনের প্রধান ও সাবেক লর্ড চ্যান্সেলর লর্ড চার্লি ফাকনার বলেন, গাঁজা পুরোপুরি বৈধ করার পক্ষে আমরা নই। আমাদের আইনের লক্ষ্য হওয়া উচিত বড় মাদক কারবারিদের দমন এবং ব্যবহারকারীদের সেবা নিশ্চিত করা।

তবে ব্রিটিশ সরকার এই প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, গাঁজা এখনো ‘বি’ শ্রেণির মাদক। একে নতুনভাবে শ্রেণিবিন্যাসের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।

এদিকে গাঁজা ব্যবহারে আইন শিথিল হবে কি না, তা নির্ভর করছে ব্রিটিশ রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের ওপর। তবে মেয়র সাদিক খানের এই অবস্থান গাঁজা নীতিমালায় নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশেষ বৃত্তিসহ ৪ দফা দাবি জবি শিবিরের

হাসপাতালে নচিকেতা চক্রবর্তী

জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার ৯ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

মালয়েশিয়ায় আটক ৮৪৩, আছে বাংলাদেশিও

২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে কখন

স্ত্রীর হাতে স্বর্ণের চুড়ি, সন্দেহের জেরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে স্বামী

নতুন জোট গড়ছে ৩ দল, ঘোষণা বিকেলে

এই ৩ পানীয় খেলেই ত্বকে দ্রুত পড়বে বার্ধক্যের ছাপ

কবরস্থান থেকে ৬ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভালো উন্নতি হয়েছে: সালাহউদ্দিন

১০

ল্যাপটপের ৫ গোপন ফিচার, যেগুলো এখনই ব্যবহার করা উচিত

১১

চকলেট রঙে আবেদনময়ী মন্দিরা

১২

আইপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল মাতানো ক্রিকেটার এবার নোয়াখালীতে

১৩

দুই পা কেটে কৃষককে হত্যা

১৪

ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ

১৫

শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের

১৬

গাজায় বাস্তবে এখনো যুদ্ধবিরতি হয়নি : কাতারের প্রধানমন্ত্রী

১৭

আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ

১৮

রাজনীতিতে অবৈধ আয়ের প্রভাব চাঁদাবাজিকে উৎসাহিত করে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

১৯

যে কারণে বহিষ্কার হলেন জামায়াত নেতা নুরুল্লাহ

২০
X