বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

৫৪ বছর ধরে রশি টেনে ডিঙি নৌকায় নদী পারাপার

এভাবেই রশি টেনেই ডিঙি নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছে দুপাশের মানুষ। ছবি : কালবেলা
এভাবেই রশি টেনেই ডিঙি নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছে দুপাশের মানুষ। ছবি : কালবেলা

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর অতিবাহিত হলেও বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হলিদাবগায় বাঙালি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হয়নি। ফলে রশি টেনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে ৩ লক্ষাধিক মানুষকে।

সরকার আসে, সরকার যায়। তাদের নেতাকর্মী ও এমপিরা প্রতিশ্রুতিও দেন, কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এভাবেই চলছে ৫৪ বছর ধরে।

সোনাতলা উপজেলা থেকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দক্ষিণে জোড়গাছা ইউনিয়নের ভেলুরপাড়া চারমাথা মোড় থেকে মাত্র এক কিলোমিটার আগে বাঙালি নদী অবস্থিত। ওই নদীর দুপাশের প্রায় ৩ লাখ মানুষকে স্বাধীনতার পর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। ওই খেয়াঘাটে স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময় ডিঙি নৌকাযোগে পারাপার হতে গিয়ে নারী-শিশুসহ প্রায় এক ডজন মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়ে যান।

স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় স্থানীয় সরকারি দলের নেতাকর্মীরা হলিদাবগা খেয়াঘাটে ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষমতায় যাওয়ার পর কেউ কথা রাখেনি। খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ করা হলে কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব সহজেই বাজারজাত করতে পারবে। স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা অল্প সময়ের মধ্যে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারবে। শ্রমজীবী মানুষেরা কম সময়ে ও অল্প খরচে তাদের নির্ধারিত কর্মস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। এক কথায়, ওই এলাকাসহ আশপাশের এলাকার লোকজনের দীর্ঘদিনের নদী পারাপারের কষ্ট লাঘব হবে।

হলিদাবগা গ্রামের আখিউল ইসলাম বিপু, নুরুজ্জামান বাদল, গোলাম মোস্তফা মুকুলসহ অনেকে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের বাঙালি নদী পারাপারের দুর্ভোগের কথা কেউ মনে রাখেনি। ভোট এলেই হলিদাবগা বাঙালি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি মেলে। ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর আর কোনো জনপ্রতিনিধি ব্রিজ নির্মাণের কথা মনে রাখেনি।

এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, ওই খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী একটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। সেতু নির্মাণ হলে নদীর দুই পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার অবসান ঘটবে। এলাকাটি একটি বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হবে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হবে। এ বিষয়ে চেষ্টা চালানো হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরাকে মুক্তি পেল ৩৩ হাজারের বেশি বন্দি

কংগ্রেসে ইসরায়েলের সমর্থন কমছে : ট্রাম্প

বিদায় বেলায় বাড়তি ব্যস্ততা মিরপুরের ভ্যালোসিটি ব্যাটওয়ালার!

ম্যানইউর বিপক্ষে রূপকথার জয়, এবার জরিমানা ভোগ করছে গ্রিমসবি

আরেকটি সুযোগ পেলেন স্টয়নিস

দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন

ভারতের স্পন্সর হতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে

বিগ ব্যাশে খেলবেন অশ্বিন!

মার্করামের ঝড়ে হেডিংলিতে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানদের জয়

১০

সাবেক আইজিপি ক্ষমা পাবেন কি, যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

১১

সাভারে খাল উদ্ধারে নেমেছে প্রশাসন

১২

উমামার প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা

১৩

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে দরকারি সব পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব

১৪

রাজশাহীতে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

১৫

৩২ বছর শিক্ষকতা শেষে রাজকীয় বিদায় শিক্ষকের

১৬

সাতক্ষীরায় মেয়াদোত্তীর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযান

১৭

জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

১৮

আগামী পাঁচদিন যেসব এলাকায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি 

১৯

জীবন সংগ্রামী শতবর্ষী বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি

২০
X