ইউক্রেনকে নতুন করে আরও ৪০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর এ ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে ব্ল্যাক হর্নেট গোয়েন্দা ড্রোন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অত্যাধুনিক এই ড্রোন টেলিডাইন টেকনোলজিসের সিস্টার্স কনসার্ন টেলিডাইন এফএলআইআর ডিফেন্স তৈরি করে থাকে। অত্যন্ত ছোট আকারের এসব ড্রোন বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এ ছাড়া নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টম ও হিমারসের জন্য গোলাবারুদ, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্টিংগার, সামরিক সাঁজোয়া যান এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
আরও পড়ুন : ৩০ বছর আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন নিক্সন
এ নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিকে ৪৩ বারের মতো সামিরক সহায়তা দিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে কিয়েভকে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
নতুন এ সামরিক সহায়তা ঘোষণার সময় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের বন্দর এবং অবকাঠামোতে রাশিয়া যে হামলা করে আসেছে তার কথা উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং দেশটির শহর ও মানুষের ওপর নৃশংস হামলা বন্ধ করে রাশিয়া যে কোনো সময় এই যুদ্ধের অবসান করতে পারে। যতদিন রাশিয়া এ কাজ না করবে, ততদিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা ইউক্রেনের পাশে থাকবে।’
২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণসাগর দিয়ে বিনা বাধায় ইউক্রেন খাদ্যশস্য রপ্তানি করে আসছিল। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭ জুলাই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া।
মন্তব্য করুন