কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫, ০২:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নতুন নিষেধাজ্ঞা কি থামাতে পারবে ইরানের পরমাণু অভিযাত্রা?

পরামাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান সংলাপের মধ্যে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : সংগৃহীত
পরামাণু কর্মসূচি নিয়ে চলমান সংলাপের মধ্যে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু ইস্যুতে এক মাস ধরে চার দফা সংলাপ চললেও সংকট নিরসনের পরিবর্তে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।

এমন আলোচনার মাঝেই ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সোমবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

নতুন নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্য ইরানের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা অরগানাইজেশন অব ডিফেন্সিভ ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এসপিএনডি)। সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

যদিও তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে- তাদের দেশে থাকা সব সম্পদ ইতোমধ্যে জব্দ (ফ্রিজ) করা হয়েছে। একইসঙ্গে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে আর্থিক বা বাণিজ্যিক লেনদেনে যুক্ত হতে পারবে না।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করছে এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।

বিশেষ করে, ইরান বর্তমানে এমন একটি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে যা কেবল অস্ত্র নির্মাণেই ব্যবহার হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বে ইরানই একমাত্র দেশ, যাদের পারমাণবিক অস্ত্র নেই কিন্তু তারা ইতোমধ্যেই ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে।

এ ছাড়া ইরান নানা ‘ফ্রন্ট কোম্পানি’ এবং ক্রয় এজেন্টদের ব্যবহার করে বিদেশি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে দ্বৈত ব্যবহারের প্রযুক্তি সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটনের ভাষ্য, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো- এসপিএনডি’র মাধ্যমে পরিচালিত সম্ভাব্য পারমাণবিক গবেষণা ও অস্ত্র উন্নয়ন কার্যক্রমকে দেরি করানো এবং ক্ষমতা হ্রাস করা। এতে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার মার্কিন প্রতিশ্রুতি আবারও স্পষ্ট হয়েছে।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেও ইরান তার অবস্থান থেকে সরে আসার তেমন কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। বরং দেশটি নিজস্ব অবস্থানকে আরও দৃঢ় করছে এবং পশ্চিমাদের ওপর আস্থার অভাব বারবার প্রকাশ করছে।

ফলে প্রশ্ন থেকেই যায়—নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ইরানকে আদৌ থামাতে পারবে কি তার পরমাণু অভিযাত্রায়? বিশ্বরাজনীতির পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্নের উত্তরই নির্ধারণ করবে মধ্যপ্রাচ্যের পরবর্তী নিরাপত্তা চিত্র।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কর্মী নিয়োগে সৌদির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

এক মাস না যেতেই ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ত্বকে যেসব পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হওয়া জরুরি, হতে পারে হার্টের সমস্যা!

রোহিঙ্গা যুবকের যাবজ্জীবন

নিজ বাড়িতে বৃদ্ধার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

৪ হাজার এএসআই নিয়োগে স্বরাষ্ট্রকে চিঠি, আছে অনেক শর্ত

‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে বিসিবির পরিচালক পাইলট

কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রথমবারের মতো চুক্তি স্বাক্ষর

সরকারি অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষের লোগো সংবলিত লিফলেট বিতরণ

ইসলামী ব্যাংকে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের দাবি

১০

ফুটবলের সঙ্গে আবেগ-ভালোবাসা মিশে আছে : বাসস চেয়ারম্যান

১১

আন্দোলনের মুখে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে নতুন প্রস্তাব

১২

পবিত্র কোরআন অবমাননার বিচারের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৩

ব্লাড সুগার বাড়ানো থেকে রক্ষা পেতে বাদ দিন সকালের ৪ খাবার

১৪

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৫

শেখ হাসিনার বিষয়ে দুই দেশকে কী করতে হবে, জানালেন বিক্রম মিশ্রি

১৬

দাফনের ১৯ দিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন

১৭

ভালোবাসার শিখরে থেকেই বিদায় নিতে চান তাহসান

১৮

ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্যবিরোধীর পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী

১৯

বিচ্ছেদের পথে থাকে যেসব ছোট ছোট কারণ

২০
X