

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি অচলাবস্থা বা শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পরপর দ্বিতীয় দিনেও এক হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস।
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) নির্দেশে শুক্রবারের পর শনিবারও (৮ নভেম্বর) বিমান চলাচলে সীমিতকরণ কার্যকর থাকে। তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোনো বিমানবন্দরে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটঅ্যাওয়ার’-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ ১,০০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট বিমানবন্দর, যেখানে একাই ১২০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
এ ছাড়া আটলান্টা, শিকাগো, ডালাস, ডেনভার ও অরল্যান্ডো বিমানবন্দরেও ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। শার্লট ও নিউয়ার্ক (নিউ জার্সি) বিমানবন্দরে কর্মীসংকটের কারণে আকাশপথের ট্রাফিক আরও মন্থর হয়ে পড়ে।
মায়ামি বিমানবন্দর থেকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ডমিনিকান রিপাবলিক যাচ্ছিলেন যাত্রী এমি হোলগুইন (৩৬)। তিনি বলেন, আমরা সবাই কোথাও না কোথাও যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আশা করি, সরকার দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করবে।
এফএএ জানিয়েছে, ধাপে ধাপে বিমান চলাচল কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ৪ শতাংশ ফ্লাইট কমানো হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে তা আরও বাড়ানো হবে, আর শুক্রবার নাগাদ কমানো হবে প্রায় ১০ শতাংশ ফ্লাইট।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সতর্ক করেছেন, যদি সরকারি শাটডাউন দীর্ঘায়িত হয় এবং আরও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার কাজ বন্ধ রাখেন, তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত ফ্লাইট কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ফ্লাইট বাতিলের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব কেবল বিমান চলাচলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না—বরং থ্যাংকসগিভিং ছুটি, পর্যটন ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার ওপরও বড় প্রভাব পড়বে।
সূত্র : এপি
মন্তব্য করুন