ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে সেখানে সামরিক শক্তি জোরদার করেই চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেখানে আরও ৯০০ মার্কিন সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছে পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধজাহাজ ও সেনা পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাড ও ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট পাঠানোর কথা জানায়। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের অংশ হিসেবে এবার সেখানে ৯০০ সেনা পাঠানোর কথা জানাল ওয়াশিংটন। মূলত ইরানপন্থি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও সেনাদের সুরক্ষার দেওয়ার নামেই সামরিক শক্তি জোরদার করে চলেছে বাইডেন প্রশাসন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র জোটের সেনাদের ওপর গত সপ্তাহে ইরাকে অন্তত ১২ বার এবং সিরিয়ায় চারবার হামলা হয়েছে। এসব হামলায় মোট ২১ মার্কিন সেনা সামান্য আহত হয়েছে।
রাইডার বলেন, বৃহস্পতিবার ইরাকে আবারও মার্কিন বাহিনীকে নিশানা করে হামলা হয়েছে। যদিও তা প্রতিহত করেছে মার্কিন সেনারা।
এর আগে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছিল, ইরানপন্থি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সেনাদের সুরক্ষায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি প্রয়োজন হলে সেখানকার সেনাবাহিনীর পরিবাররের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবে রেখেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে টহল জোরদার, সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশাধিকার সীমিতকরণ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন