কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। বিতর্কিত সীমান্তে এক সপ্তাহ ধরে চলা ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর দেশ দুটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার ভোরে জানিয়েছে যে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুসংহত করার জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর আগে দেশ দুটির মধ্যে ৪৮ ঘণ্টার ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল। পরে এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে দোহায় আলোচনায় বসে দুই দেশ।
দোহা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং নির্ভরযোগ্য ও টেকসই পদ্ধতিতে এর বাস্তবায়নে আগামী দিনগুলোতে ফলোআপ বৈঠক করতেও দুই দেশ সম্মত হয়েছে। এর আগে উভয়পক্ষই বলেছিল যে, তারা শনিবার দোহায় শান্তি আলোচনা করছে, কারণ তারা এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছে।
২০২১ সালে কাবুলে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে দক্ষিণ এশীয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছে। এর আগে আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুবের নেতৃত্বে কাবুলের আলোচনাকারী দল কাতারের রাজধানীতে পৌঁছেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে বলেছিল যে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছেন। পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পাক-আফগান সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের ওপর আলোচনায় আলোকপাত করা হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ যুদ্ধবিরতিতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংঘাত থামবে কি? এর উত্তরের জন্য এ দুই দেশের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হবে। পাকিস্তান শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান তালেবান নামে পরিচিত টিটিপি আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে আফগান তালেবান। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টির সমাধান না হলে সংঘাত থামবে না।
মন্তব্য করুন